অনলাইন এই সভায় সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সমন্বয়কারী মহব্বত হোসেন মিলন বলেন: সম্প্রতি খাগড়াছড়ি, যশোর, সিলেটে নারী ধর্ষণের ঘটনাটি নিছক কোনো ঘটনা নয়। দীর্ঘদিনের বিচারহীনতার সংস্কৃতি, ভঙ্গুর শিক্ষাব্যবস্থা এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক দায়বদ্ধতার অভাবে প্রতিনিয়ত এই ঘটনাগুলো ঘটছে।
ধর্ষীত হওয়ার পর উল্টো সমাজ কর্তৃক নারীকে দোষারোপ করার চিন্তাগত অবস্থা অপরদিকে ধর্ষকদের বিচার করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের অনীহার মাধ্যমে ধর্ষকদের উৎসাহী করে তোলা হচ্ছে। ফলে প্রতিদিন ধর্ষণের মত ন্যাক্কার জনক ঘটনাগুলো ঘটছে।
অন্যদিকে দেশের নারীরা গৃহ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তা-ঘাট, যানবাহন কিংবা কর্মস্থল কোথাও নিরাপদ নয়।এভাবে আর চলতে দেয়া যায় না! দ্রুত এই সংস্কৃতি থেকে জাতিকে রক্ষায় রাষ্ট্রীয় ভাবে দল মত নির্বিশেষে সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করে ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
সংগঠনের সভাপতি সোহাগ সিকদার ধর্ষণের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, পাহাড়ে কিংবা সমতল কোথাও নারীরা আজ নিরাপদ নয়।
সর্বস্থলে তারা হুমকির সম্মুখীন। অন্যদিকে সিলেটে ছাত্রলীগ কর্তৃক ধর্ষণের মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটেই চলছে। এসব ধর্ষণের ঘটনা আজকাল স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে গেছে। যেটা দীর্ঘদিনের বিচারহীন সংস্কৃতির ফল। আমরা দাবি জানাই এই বিচারীনতার সংস্কৃতি থেকে বেড়িয়ে এসে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রশাসন যেন দ্রুত এসব ঘটনার বিচার নিশ্চিত করে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তাসবিয়া ইসলাম তুলি বলেন, স্বাধীনতার ৪৯ বছরেও দেশে নারীরা নিরাপদ নয়। ঘরে বাইরে কোথাও তাদের নিরাপত্তা নেই। দেশে প্রতিনিয়ত এমন ভাবে ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে! যেন নারীরা কেবল ভোগের বস্তু। অপরাধীদের দৃশ্যমান কোন বিচার হয় না দেশে। নিরাপত্তা বাহিনী, প্রশাসনের কর্মকর্তা, শিক্ষক ও পিতা থেকে শুরু করে সকলের দ্বারা নারী আজ অপদস্ত, নিগৃহীত, ধর্ষিত ও অপমানিত।অথচ দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে আজ নারীরা অবস্থান করছে! তিন লক্ষ সম্ভ্রমের মূল্য আজ কোথায়! মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সত্য প্রকাশে স্বাধীন
সংগঠনের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রানা হেমব্রম বলেন, আমি নিজেও একজন আদিবাসি। কিন্তু দুঃখের বিষয় স্বাধীন বাংলাদেশেও আমরা চরমভাবে অবহেলিত। বিভিন্ন সময় দেশে আদিবাসী জনগোষ্ঠির উপর নিপীড়ন ও হামলার ঘটনা ঘটেই চলছে।আমাদের জীবন, ইজ্জত, সম্পদের নূন্যতম নিরাপত্তা নাই। খাগড়াছড়িসহ দেশের সকল গণধর্ষণের দ্রুত বিচারের দাবি করছি?
উল্লেখ্য, সংগঠনের এ-ই অনলাইন প্রতিবাদ সভা থেকে তিনটি দাবি উত্থাপন করা হয়েছে-
১. সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
২. ভুক্তভোগী নারীর স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৩. পাহাড় থেকে সমতলে সর্বত্র নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।