ময়মনসিংহের ভালুকায় ধীতপুরে ভগ্নিপতির জোরপূর্বক ধর্ষণে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে ১২ বছর বয়সী এক শিশু শ্যালিকা।
গঠনাটি ঘঠেছে ভালুকা উপজেলার ধীতপুর ইউনিয়নের ধলীয়া গ্রামে ভগ্নিপতির শ্যালিকা ধর্ষণের ওই ঘটনাটি ঘটে। এব্যপারে জানা যায়,নির্যাতনের শিকার শিশু স্থানীয় একটি প্রথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী।
এব্যপারে ছাত্রীর বড় বোন বাদী হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ভগ্নিপতি মানিক চন্দ্র দেবনাথকে আসামি করে ভালুকা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি দায়ের করা হয়। মানিক চন্দ্র দেবনাথ ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জের রাজিবপুর ইউনিয়নের বিঘাগ্রা গ্রামের মৃত অবনি চন্দ্র দেবনাথের ছেলে।
এব্যাপারে মামলা দায়ের করার পরপরই পুলিশ মানিক দেবনাথকে গ্রেপ্তার করে আজ শুক্রবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং জবানবন্দি প্রদানের জন্য ধর্ষিত ওই ছাত্রীকেও আজ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে থানা পুলিশ বিষয়টি নিচ্ছিত করেছে।
ভালুকা মডেল থানা ও মামলার সূত্রে জানা যায়, মানিক চন্দ্র দেবনাথ প্রায় ১১ বছর পুর্বে ভালুকা উপজেলার ধলীয়া গ্রামের ধর্ষিত ওই ছাত্রীর মেজো বোনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ির পাশেই বসতবাড়ী গড়েন মানিক চন্দ্র দেবনাথ। কিছুদিন আগে মানিক চন্দ্র দেবনাথের স্স্ত্রীর বাচ্চা হওয়ায় ওই ছাত্রী ভগ্নিপতির বাড়ি গিয়ে রান্নাবান্নার কাজ করে দিত। ওই সুযোগে ভগ্নিপতি মাঝে মধ্যেই শ্যালিকার শরীরের ভিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিত। তখন ওই শিশু বিষয়টি প্রকাশ করে দেয়ার কথা বললে মানিক তাকে বিভিন্নভাবে ভয় দেখিয়ে যেত।
গত ২৮ মার্চ মেয়েটি তার ওই বোনের বাড়িতে বেড়াতে যায়। আর এই সুযোগে মানিক চন্দ্র দেবনাথ ওই রাতে ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই শিশুকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে বলে জানায়। পরবর্তীতে, একই কায়দায় মানিক ওই ছাত্রীর সাথে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে । একপর্যায়ে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হলে পরিবারের লোকজন ময়মনসিংহের একটি ক্লিনিকে নিয়ে পরীক্ষা করিয়ে জানতে পারেন ১২ বছরের ওই শিশু পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে।
এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্ত এস,আই রঞ্জন চন্দ্র জানান, শনিবার ওই শিশুকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য।
এব্যপারে ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন,জানায় এই ঘটনায় মামলার অভিযুক্ত আসামি মানিক চন্দ্র দেবনাথকে গ্রেপ্তার করে আজ শুক্রবার গ্রেফতারকৃতকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।পরবর্তী পদক্ষেপ জরুরীভাবে গ্রহন করা হবে।