ঝালকাঠির রাজাপুরে মন্দির কমিটি ও সনাতন সম্পদায়ের আয়োজনে নারয়ন চন্দ্র দে কবিরাজ বাড়ী শ্রী শ্রী কেন্দ্রীয় সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরের সম্পত্বি রক্ষার্থে এবং হামলা কারীদের বিচারের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ১৪ অক্টোবার বুধবার সকাল ১০ রাজাপুর প্রেস ক্লাব চত্তরে প্রায় ঘন্টা ব্যাপী এ মানবন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তাব্য রাখেন নারয়ন চন্দ্র দে সর্বাজনীন দূর্গা মন্দিরের সভাপতি হিমাংশু শেখর দাস,সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন মিস্ত্রী,হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্ট্রান ঐক্য পারিষদ উপজেলা শাখার সভাপতি জয়রাম তেওয়ারী,সাধারণ সম্পাদক বাবু নিত্যানন্দ শাহা,উপজেলা পূজা উর্দযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোপাল কর্মকার ,সহ-সভাপতি নেপাল দেবনাথ,শ্রীগুরু সংঘ উপজেলা শাখার সভাপতি শ্যামল কর্মকার,উপজেলা পূজা উর্দযাপন পরিষদের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক দুলাল তেওয়ারী, নারয়ন চন্দ্র দে কবিরাজ বাড়ীর মহা শশ্বান ঘাটের সাধারণ সম্পাদক মিঠুন চত্রুবর্তী,সহ-সভাপতি স্বপন সমদ্ধার সহ বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবু প্রাণ বল্লব সাহা,দীপক দেবনাথ,দেবাশীষ ঘরামী দেবু,আশীষ ঘরামী,স্বপন খান,তপন খান প্রমুখ।
বক্তারা তাদের বক্তিতায় বলেন, রাজাপুর সদরে প্রায় দেড়’শ বছর আগের নারয়ন চন্দ্র দে ও শরৎ চন্দ্র দে কবিরাজ বাড়ী শ্রী শ্রী কেন্দ্রীয় সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরের নামে এস এ ১৮৪৬ নং খতিয়ানের এস এ ৪৯৬৮ নং দাগে ৭ শতাংশ দেবত্বোর সম্পত্বির উপর অবস্থিত একটি টিন সেট ঘরে সরস্বতি ও বিশ্বকর্মা প্রতিমা বিরজমান রয়েছে। প্রতি দিনের ন্যায় গত ১৩ অক্টোবর মঙ্গলবার হিন্দু ধর্মাম্বলীরা পূজা আর্চনা করার সময় অর্তকিত হামলার শিকার হন।
হামলার প্রধান নায়ক ভুমি দস্যু গোলাম ফারুক নেতৃত্বে ভারাটিয়া মাস্তান নাসির হোসেন মৃর্ধা,রাব্বানী হাওলাদার ও মিরাজ হোসেন সহ আরো ১০-১২ জন গুন্ডা বাহিনির হাতে লাঞ্চিত হয় মন্দিরের সভাপতি ও ভক্তবৃন্দরা। এক পর্যায়ে মন্দিরের ভক্তবৃন্দদের লাঠি সোটা নিয়ে ধাওয়া করে ফারুকের বাহিনি।এরপরে মন্দিরের ভিতরে থাকা ভক্তবৃন্দদের অকথ্য ভাষায় গাল মন্দ করেন ঐ বাহিনি। বিগত দিনেও ভুমিদস্যু ফারুক বাহিনির লোকেরা আমাদের উপর হামলা ও হুমকি দিয়ে আসছিলো। এর প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার কাছে বিষয়টি দেখার অনুরোধ করলেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনির পক্ষ থেকে সঠিক কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় ভুমি দস্যুদের হুমকি দিনকেদিন বেড়েই চলছে। এ ঘটনায় আমরা বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা মেজিস্ট্রেট এর বরাবর ১৪৪,১৪৫ ধারা মোতাবেক ফৌজদারী কার্যবিধি একটি করেছে।যার নং ২৫২ তারিখ ১৩,০৯,২০২০।
মানববন্ধন শেষে তারা উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও রাজাপুর থানায় স্বারক লিপি প্রদান করেন এবং রাজাপুর প্রেস ক্লাবে প্রেস রিলিজ প্রদান করেন।
এরপর দুপুর ১২ টা ৩০ মিনিটে অভিযুক্ত নাসির মৃধা,ফারুক হোসেন ও স্বপন তাং প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে উল্লেখিত অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবী করেন।