ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে রেলের নারী কর্মীকে আপত্তিকর প্রস্তাবে সম্মতি না দেয়ায় যুবলীগ নেতার হাতে লাঞ্ছিত হয়েছে রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগের এক কর্মজীবী নারী। এই ঘটনার প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগের কর্মচারীরা আজ শনিবার প্রায় ঘন্টব্যাপী ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ করে রাখে।
রেলওয়ে থানায় করা অভিযোগ ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,আজ শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথের ধামাইল এলাকায় সাবেক পৌর মেয়র যুবলীগ নেতা কায়সার আহম্মেদের বাড়ির সামনে রেললাইনের ওভারহেলিংয়ের কাজ করছিল রেলওয়ের প্রকৌশল শাখার দুজন নারী কর্মচারীসহ চার-পাঁচজন কর্মচারী। এ সময় সাবেক মেয়রের বাড়ির কেয়ার টেকার লিটন ওরফে বাশু লিটন(৪৮) দুই কর্মজীবী নারীকে অশ্লীল কথাবার্তা বলে উত্ত্যক্ত করতে থাকে এবং কুপ্রস্তাব দেয়।
লিটন দুই নারীকে মেয়রের বাড়ির ভিতর হাফিজুলের কাছে যেতে বলেন। এ সময় কেয়ারটেকার বাশু লিটন রেলের পুরুষ কর্মচারীদের লাঠি ও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধাওয়া দেয়। রেলের প্রকৌশল বিভাগের মেইড শহীদ মিয়া(৩২), ওয়েম্যান আজিজুল(৩৩), কমলা আক্তার(২৮) প্রাণভয়ে দৌড়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে পারলেও ওয়েম্যান আকলিমা বেগমকে(২৮) আটকিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে বাশু লিটন। ঘটনা দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে বাশু লিটন পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগের কর্মচারীরা বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে বিকাল সোয়া ৫টা পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ করে রাখে। এ সময় দেওয়ানগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেন গফরগাঁও রেলস্টেশনের ইনার সিগন্যালের কাছে আটকা পড়ে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিচারের আশ্বাসে রেলকর্মীরা অবরোধ তুলে নেন।
লাঞ্চিত কর্মজীবী নারী আকলিমা বেগম বলেন, আমরা দরিদ্র নারী। পেটের দায়ে চতুর্থ শ্রেণির চাকরি করি। চাকরি করতে এসে কুপ্রস্তাবের শিকার হলাম এবং লাঞ্চিত হলাম ।
রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগের গফরগাঁওয়ের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রেলের ঊর্ধ্বতন মহল বিষয়টি জানানো হয়েছে।