দৈনিক নয়াদিগন্ত ও দৈনিক ঘাঘট পত্রিকার গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলা প্রতিনিধি খোরশেদ আলমের উপর হামলা চালিয়েছে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম।
সোমবার দুপুরে সাদুল্যাপুর উপজেলা পরিষদের সামনের রাস্তার উপর প্রকাশ্যে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সাংবাদিক খোরশেদ আলমের উপর হামলা চালানো হয়। হামলায় আহত সাংবাদিক খোরশেদ আলমকে সাদুল্যাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। জানা গেছে সাদুল্যাপুর উপজেলা শহরতলীর জয়েনপুর গুচ্ছগ্রামের আবু তাহের মিয়ার ছেলে আশরাফুল ইসলাম পুলিশের তালিকা ভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী। এই কারণে একাধিকবার জেলে গেছে আশরাফুল ইসলাম। তার মাদক ব্যবসা নিয়ে বিভিন্ন সময় পত্রিকায় এবং নিজের ফেসবুক আইডিতে সংবাদ প্রকাশ করেন সাংবাদিক খোরশেদ আলম। এতে সাংবাদিক খোরশেদ আলমের উপর ক্ষিপ্ত ছিলেন মাদক ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম।
সর্বশেষ রোববার মাদক ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম জেল থেকে বেড়িয়ে এসে পরদিন সোমবার সাংবাদিক খোরশেদ আলমের উপর হামলা চালায়। হামলার সময় মাদক ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী মোরশেদা বেগম, বড় ভাই মোমিনুল ইসলাম ও তার মা মোমেনা বেগম। স্থানীয়রা হামলায় আহত খোরশেদ আলমকে উদ্ধার করে সাদুল্যাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
সাদুল্যাপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম বলেন সোমবার দুপুরে তিনি উপজেলা পরিষদের সামনের রাস্তার উপর টি-ষ্টলের পাশে দাড়িয়ে ‘চা পান’ করছিলেন। এমন সময় আশরাফুল ইসলাম অস্ত্র সস্ত্রসহ তার লোকজন নিয়ে অর্তকিত আমার উপর হামলা চালায়। আমি চিৎকার শুরু করলে অস্ত্র উচিয়ে পালিয়ে যায় মাদক ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম ও তার লোকজনরা।
সাদুল্যাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদ রানা বলেন সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনার সংবাদ পেয়েই তিনি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছেন। অভিযুক্তদের আটক করার জন্য পুলিশ এখনো অভিযান চালাচ্ছে। এই ঘটনায় জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবেনা। হামলার ঘটনায় সাংবাদিক খোরশেদ আলম বাদী হয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সাংবাদিক খোরশেদ আলমের উপর হামলার প্রতিবাদে এবং মাদক ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলামকে গ্রেফতারের দাবীতে গতকাল সোমবার বিকালে সাদুল্যাপুর প্রেসক্লাবে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রেসক্লাব সভাপতি শাহজাহান সোহেল এর সভাপতিত্বে এই প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, মাহমুদুল হক মিলন, সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান পলাশ, সহ-সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল হোসেন জাকির, অর্থ সম্পাদক মোস্তাফিজার রহমান ফারুক, সদস্য তাজুল ইসলাম রেজা, ছামসুল হক কাজল, আমিনুল ইসলাম, সাইদুর রহমান, ছোলায়মান সরকার, জাহাঙ্গীর আলম, এস.এম আসাদুজ্জামান, নয়ন কুমার সাহা, আনোয়ার হোসেন মাসুদ ও আব্দুর জোব্বার আকন্দ।