বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘু চাপের প্রভাবে মোংলা সমুদ্র বন্দরসহ উপকূলীয় অঞ্চলে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই জেলার বেশিরভাগ এলাকায় মুশুল ধরে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
দুপুর দুইটা পর্যন্ত বৃষ্টির পরিমান কমলেও দেখা মেলেনি সুর্যের। হঠাৎ বৃষ্টিতে সমস্যায় পড়েছে অফিসগামী ও খেটে খাওয়া সাধারন মানুষ। সকালে শুরু হওয়া শারদীয় দূর্গা পূজা উদযাপনেও সমস্যায় পড়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। তবে বৈরি আবহাওয়ার মধ্যেও মোংলা বন্দরের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন মোঃ শাহাদাত হোসেন। বাগেরহাটসহ উপকূলীয় অঞ্চলে এ ধরণের বৃষ্টিপাত আরও দুই একদিন থাকবে বলে জানিয়েছেন মোংলা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মোহাম্মাদ আলী।
বৃষ্টির কারণে সকাল থেকেই রাস্তাঘাট ফাকা ছিল। ছাতা নিয়ে কিছু মানুষকে খুব জরুরী কাজে বের হতে দেখা গেছে। বাগেরহাট শহরের শালতলা এলাকার রিকশা চালক আলমগীর বলেন, বেলা ১১ টা পর্যন্ত যখন বৃষ্টি কমেনি, তখন পলিথিন পেচিয়ে রাস্তায় বের হলাম। ঘরে বসে থাকলে তো আর বাড়িতে চাল যাবে না। আলমগীরের মত কিছু রিকশা চালক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদেরই রাস্তায় দেখা গেছে।
মোংলা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মোহাম্মাদ আলী বলেন, বঙ্গোপসগারে সৃষ্ট লঘূ চাপের কারণে সকাল থেকে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। দুপুর পর্যন্ত আমরা ৩৯ মি.মি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছি। আগামী দুই-তিনদিন এধরণেল বৃষ্টিপাত থাকবে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন মোঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, মোংলায় বৃষ্টিপাত হলেও বন্দরের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। বন্দরে জাহাজ আগমন, নির্গমন, খালাস ও বোঝাই সবই চলমান রয়েছে।