গতকাল শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে সভাপতি আশরাফুল আলম সম্রাট ও সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয় তারা।
বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি আশরাফুল আলম সম্রাট বলেন, 'প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্মকর্তাদের এমন দুর্নীতি ও অনিয়ম শুধু ক্যাম্পাসের ভাবমূর্তিই নষ্ট করে না বরং পুরো শিক্ষাব্যবস্থাকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়। আমরা দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও অনিয়মের তীব্র নিন্দা এবং দ্রুত অপসারণের দাবি জানাই।' সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলন বলেন, 'গতবছর বর্তমান প্রশাসনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়েছি।
এসময় ছাত্র নেতৃবৃন্দের ওপর নানান চাপ তৈরি হলেও আমরা আন্দোলন থেকে পিছপা হইনি। একপর্যায়ে প্রশাসনকে লাল কার্ড দেখিয়ে আচার্য বরাবর খোলা চিঠি প্রেরণ করি এবং প্রশাসনের সমস্ত কার্যক্রমকে অবৈধ ঘোষণা করি। তখন ইউজিসি বা আচার্য কেউই আমাদের কথা শোনেন নি! দেরিতে হলেও দুর্নীতি ও অনিয়মের ঘটনাটি প্রমাণিত হলো। কিন্তু এখনও এই দুর্নীতিবাজরা স্বপদে বহাল আছে! যা কোনো ভাবেই বরদাস্ত করা যায় না। আমরা ২৪ ঘন্টার মধ্যেই সকল দুর্নীতিবাজের অপসারণ দাবি করছি।'
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া এবং রেজিস্ট্রার এম.এ বারীর বিভিন্ন খাতে ২৫ টি অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে।