ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে জ্যান্ত ডলফিনকে জালে আটক করে তেলের জন্য জ্যান্ত ডলফিনকে গ্রামবাসিরা কেটে টুকরো করে ফেলে। ঘঠনাটি ঘটেছে জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদে মাছ ধরার সময় এক জেলের জালে ধরা পড়ে বিরল প্রজাতির ডলফিন। আর তেলের বা চর্বির লোভে তা কেটে টুকরো টুকরো করল গ্রামের লোকজন।
গত চার দিন আগে ডলফিনটি ধরা পড়লেও এলাকায় তা প্রচার হয়। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ডলফিনের ছবি ও খণ্ডিত মাংস দেখে আজ শনিবার সকালে ওই এলাকায় যায় প্রাণী, মৎস্য ও বন বিভাগের লোকজন।
স্থানীয়রা জানান, ডলফিনটি ধরার পরেই প্রচার হয় এর তেল বা চর্বি বেশ মূল্যাবান। বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ছয়শত টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় এ তেল। এই লোভেই কয়েকজন জেলে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় ডলফিনটি কেটে তেল (চর্বি) বের করে ফেলে। ধরা পড়ার পর থেকে কাটাকুটির দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে অনেকেকে আফসোস করে নানা মন্তব্য করতে দেখা যায়।
ডলফিন ধরার ঘটনাটি ঘটেছে গত ২০ অক্টোবর ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজীবপুর ইউনিয়নের যাদুয়ারচর এলাকায়। এই চরটি উপজেলা সদর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত। চরটি বেশ নির্জন। কাজেই ডলফিন ধরার পর জানাজানি হয় অনেক পরে।
স্থানীয় লোকজন সূত্রে আরও জানা যায়, এই এলাকার মানুষের প্রধান জীবিকা হচ্ছে মাছ ধরা। ব্রহ্মপুত্র নদে এখন আগের মতো মাছ পাওয়া যায় না। কোনো কোনো সময় জেলেদের জালে বড়সড় মাছ ধরা পড়লে মানুষের মধ্যে হইচই পড়ে যায়। ডলফিন ধরা পড়ার পরও অদ্ভুত প্রাণিটি দেখার জন্য প্রচুর মানুষের ভিড় জমে। কেউ কেউ ছবি তুলে নিয়ে যায়। তবে স্থানীয় লোকজন প্রাণীটির গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারেনি।
আজ শনিবার রাজীবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম মোদাব্বিরুল ইসলাম বন বিভাগের একজন কর্মকর্তাকে নিয়ে ডলফিন সম্পর্কে তথ্য জানার জন্য যাদুয়ারচরে যান। চেয়ারম্যান জানান, এলাকার লোকজন না জেনেই ডলফিনটিকে কেটে ফেলেছে। তবে এখন থেকে ওই স্থানে লক্ষ রাখা হবে ফের ডলফিন ধরা পড়লে যাতে কেউ ক্ষতি করতে না পারে। তাছাড়া গঠনাস্থল পরিদর্শন করে গ্রামবাসিদেরকে এব্যাপারে সতর্ক ও ভবিষ্যতে এধরনের বিড়ল প্রজাতির ডলফিন ধরা পড়লে প্রশাসনকে জানানোর জন্য গ্রামবাসিদেরকে বলা হয়।