বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এপেন্ডিসাইটিস অপারেশনে আকবর শেখ (২৫) নামের এক যুবকের মৃত্যু নিয়ে নানা গুঞ্জন উঠেছে। গত সোমবার রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ যুবকের মৃত্যু হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরনকারী আকবর শেখ কচুয়া উপজেলার মাধবকাটি গ্রামের আবুল বাশার শেখের ছেলে।
মৃত্যুবরনকারী যুবকের ভগ্নিপতি কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ঔষধ ব্যবসায়ী সম্রাটের সহায়তায় পেটে ব্যাথা নিয়ে ১৯ অক্টোবর কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয় আকবর শেখ। সেখানে চিকিৎসকরা জানান তার এপেন্ডিসাইটিস হয়েছে, অপারেশন করতে হবে। ২০ অক্টোবর সকালে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ মনজুরুল আলম তার অপারেশন করেন। অপারেশনের পর থেকে আকবর ধীরে ধীরে অসুস্থ হতে থাকেন। একপর্যায়ে ২২ অক্টোবর কচুয়া হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন কচুয়ার চিকিৎসকরা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (২৬ অক্টোবর) মারা যায় আকবর। এই ঘটনায় আকবরের পরিবারের দাবি চিকিৎসকের ভূলের কারনে তাদের সন্তানের মৃত্যু হয়েছে।
বাগেরহাট সিনিয়র ডাক্তার ও জেলা (বিএমএ) এর সভাপতি ডাঃ মোশাররফ হোসেন বলেন, কোন ডাক্তারই চায় না রোগীকে মারতে। চিকিৎসকের কাজই হচ্ছে অসুস্থ্য রোগীকে সুস্থ করে তোলা। ডা. মোঃ মনজুরুল আলমের ভুল চিকিৎসায় রোগী মারা যাওয়ার তথ্য এখনো পাইনি।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ডা. মোঃ মনজুরুল আলম বলেন, পূর্ব পরিচিত স্থানীয় ঔষধ ব্যবসায়ী সম্রাটের সহায়তায় ১৯ অক্টোবর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয় আকবর। পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানা যায় এপেন্ডিসাইটিস হয়েছে। ২০ অক্টোবর সফল ভাবে এপেন্ডিসাইটিস অপারেশন সম্পন্ন হয়। তার ২দিন পরে আকবরের স্বাশকষ্ট ও বুকে ব্যাথা অনুভব হলে তাকে টেস্টের জন্য বাগেরহাটে সিটি ল্যাবে পাঠাই ও উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজে প্রেরন করা হয়।
তিনি আরো বলেন এক শ্রেনীর স্বার্থন্বেষী মহল নিজেদের স্বার্থস্বিদ্ধির জন্য মৃত্যুবরনকারী যুবকের পরিবারকে ব্যবহার করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করছে।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, নিহত আকবর শেখের বাবা আবুুল বাশার শেখ লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখব। যদি চিকিৎসকের কোন গাফিলতি বা অবহেলার প্রমান পাওয়া যায় তাহলে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার কথা বলেন তিনি।