ময়মনসিংহের নান্দাইলে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষন পড়ে বাল্যবিয়েতে সমাধান করা হয়। বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক স্থানে রেখে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে স্কুলছাত্র ধর্ষক। কৌশলে বিয়ের কথা বলে দুইদিন পর ছাত্রীর বাড়িতে রেখে গা ঢাকা দেয় ওই স্কুলছাত্র। স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ফাঁদে ফেলে ধর্ষককে আটক করে পুলিশে দিলেও বিয়ের কথা বলে ছাড়িয়ে নেয় শালিসকারীরা। নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলায় অভিযুক্ত হওয়া থেকে রেহাই পেতে এ ঘটনা ঘটনানো হয়েছে। শনিবার রাত তিনটার দিকে এই বিয়েটি অনুষ্ঠিত হয়েছে নান্দাইল পৌরশহরের পৌর বাজারের একটি সরকারি ভবনে।
জানা যায়, স্কুলছাত্রীর বাড়ি নান্দাইল উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে। অন্যদিকে অভিযুক্ত এসএসসি পরীক্ষার্থী খারুয়া ইউনিয়নের হালিউড়া গ্রামের স্বপন মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া (১৭)। গত বৃহস্পতিবার স্কুলছাত্র হৃদয় মিয়া ওই স্কুলছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যায়। স্কুলছাত্রীর সাথে একাধিক স্থানে রাত কাটায় হৃদয়। দুইদিন পর শনিবার সন্ধ্যায় স্কুলছাত্রীকে বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায় সে। পরে স্কুলছাত্রী স্বজনদের কাছে সবকিছু খুলে বলে। সবার পরামর্শে ওই ছাত্রী কৌশলে তরুণকে বাজারে ডেকে আনে।
এ সময় স্থানীয়রা ওই স্কুলছাত্রকে আটকে রেখে নান্দাইল থানায় খবর দেওয়া হয়। রাত ১১টার দিকে তাদের দুজনকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
স্কুলছাত্রীর মামা আবদুল হাকিম জানান, দুদিন আগে তার ভাগ্নিকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল পাশের গ্রামের তরুণ। এক পর্যায়ে ছেলেটিকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়। মামা হাকিম আরো বলেন রাতেই আমিসহ অনেকেই থানায় যাই। পরে দেখা যায় মামলা করতে হবে। সকলে কইয়া বায়া, বাইরে নিয়া বিয়া করাইয়াম এই শর্তে ছাড়াইয়া আনি। পরে রাইত তিনডার দিকে নান্দাইল বাজারের একটি বিল্ডিং ঘরে বিয়া অইছে তিন লাখ টেহা কাবিন দিয়া।
দুজনের তো বিয়ের বয়স হয়নি। তাহলে কীভাবে বিয়ে হলো জানতে চাইলে মামা বলেন, অততো কিছু কইতাম পারতাম না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আকন্দ ওই দুই জনকে থানায় আনার কথা স্বীকার করে বলেন, লংগারপাড় বাজারে প্রচুর মানুষ জড়ো হয়েছিল। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ওই বাজারে থেকে দুজনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে তাদের অভিভাবকের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এব্যাপারে কোন মামলা না হওয়ায় কিছু করা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।