আসছে শীতকাল! এরই মধ্যে জানান দিচ্ছে শীত তার আগমনী বার্তা। শীত মৌসুমে কৃষি খাত যেমন ব্যস্ত হয়ে পড়ছে তেমনি ব্যস্ত সময় পার করছে এখানকার শুটকি ব্যবসায়িরা। শুটকির গন্ধে মুখরিত চারিদিক। মৌসুমের শুরুতে জেলেদের কাছ থেকে মাছ সংগ্রহ করে খোলায় শুকানোর জন্য দেশি জাতের মাছ সংগ্রহ করা হচ্ছে। পাবনার বেড়ায় মাছ শুকানোর জন্য রয়েছে মোট ৮ থেকে ১০ টি শুটকি খোলা।
শীত মৌসুমে খাল-বিলের পানি কমতে থাকায় প্রচুর পরিমানে মাছ ধরা পড়ছে। এসব মাছ বাজারে বিক্রির পাশাপাশি শুটকির খোলা গুলোতেও জেলেরা বিক্রি করছে। উৎপাদিত শুটকি মাছের মধ্যে রয়েছে, পুটিমাছ, টেংরা মাছ, চিংড়ি মাছ, টাকি মাছ, গচি বাম, ছোট বোয়াল,ভ্যাদা মাছ প্রভৃতি। উপজেলার সবকটি খোলায় কাজ করছে মহিলা পুরুষ মিলে মোট ১৫ থেকে ২০ জন শ্রমিক। শুটকিগুলো সরাসরি চলে যাচ্ছে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
মাছ শুটকি করার পরপরই তা বাছাই করা হয়। মানভেদে সর্বনিম্ন পুটিমাছ শুটকি খোলা থেকেই বিক্রি হচ্ছে ৬০ কেজি। গতবছর শুটকি মাছে ভালো দাম পাওয়ায় এবার আরও বেশি করে মাছ শুকানো হচ্ছে বলে জানান এখানকার শুটকি ব্যবসায়িরা। বেড়া কৈটোলা এলাকার জয়নগর গ্রামের শুটকি ব্যবসায়ি বাবলু সরদার জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আমার খোলায় মাছ শুকানো হচ্ছে। এবছর মাছের আমদানি বেশি হওয়ায় মাছের দাম কম যাচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ৪ থেকে ৫ বার মোকাম করতে পারবো এবং ভালো লাভের আশা করছি।