শীতকালের আগমণ খুব বেশি দেরি নয়, দেখতে দেখতে চলে আসছে শীত কাল। আর কিছুই দিনের মাঝেই স্পর্শ করবে শীতের ঠান্ডা হাওয়া। আর শীত মানেই প্রশান্তির ঘুমের জন্য সবচেয়ে উপযোগী ঋতু।দিনে প্রচন্ড গরম, আর ভোর রাতে বইতে শুরু করে হিমেল হাওয়া। সেভাবে শীতের সকাল টা শুরু না হলোও জলবায়ুর পরিবর্তনে অনুভূত হচ্ছে শীতের আমেজ। আর এই প্রচন্ডের শীতের মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে গাইবান্ধায় হিড়িক পরেছে লেপ-তোশক বানানোর।
গতকাল মঙ্গলবার ৬ নভেম্বর জেলা বিভিন্ন জায়গাতে ঘুড়ে দেখা যায় - শহরের পুরাতন কাচারী বাজার টেনিস কমপ্লেক্স এর সামনে,জেলা ডিসি অফিসের সামনে, মাষ্টারপাড়ায় লেপ-তোশক বানাতে ব্যস্ত কারিগররা।
বেলাল হোসেন বলেন -প্রতিদিন তারা ২টা থেকে ৪টা লেপ-তোশক বানাতে পারে। আর একটি লেপ-তোশক বানানোর মজুরী হিসেবে পারিশ্রমিক পান ২০০ থেকে ২৫০ টাকা,তবে লেপ-তোশকের সাইজ অনুসারে প্রতিদিন ৪০০শত থেকে ১০০০ হাজার পযর্ন্ত রোজগার হয়।সেই টাকা দিয়েই তাদা সংসার চালায়।
তিনি আরো বলেন একই সাথে আমরা কয়েকজন কাজ করে থাকি। লেপ কিনতে আসা সালাউদ্দিন কাসেম জানান, আসছে প্রচন্ড শীত, এখন দিনে গরম থাকলেও রাতে একটু একটু শীত অনুভব হয়। আর আমাদের এই জেলায় শীত বেশি হয় তাই আগে ভাগে লেপ তৈরি করে নিতে আসছি।
এদিকে লেপ-তোশক দোকানদার লেলিন বলেন-এখনো ঠিক ভাবে শীত পড়েনি,তবে রাতে হালকা হালকা শীত অনুভব করে। তাই লোকজন শীত নিবারনের জন্য শীত বস্তের প্রতি ঝুকছেন। জেলা শহরে অন্য অনেক দোকান থাকা শর্তেও প্রতিদিন আমার দোকানে প্রায়ে ৭ থেকে ১০ টি লেপ-তোশক অডার পান।
অন্যান্য বছরের তুলনায় দামের এবার কাপড় ও তুলার দাম বেশি। যেমন শিমুল তুলা ৪৫০ থেকে ৫০০টাকা প্রতিকেজি, সাদা (গার্মেন্টস তুলা) ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, প্রতিকেজি কালো রঙ্গিন হলুদ লাল লীল রংগের গার্মেন্টস তুলা ২৫ থেকে ৩০ টাকা প্রতিকেজি। কার্পার্স তুলা ১২০ থেকে ১৫০ টাকা প্রতিকেজি বিক্রয় করি। আবার কাপড়ের গজ বিভিন্ন কাপড়ের মান অনুসারে প্রতি গজ ২৭ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রয় করে থাকি। তবে প্রতি লেপ ৫৫০ থেকে ১৫০০শত টাকা এবং তোশক ৬০০ শত টাকা হতে ৯০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রয় করি। সব মিলে ভালো মানের একটি লেপ তৈরি করতে ১৫০০ শত থেকে ২০০০ হাজার টাকা লাগে। আবার শীত বেশি পড়লে লেপের চাহিদা তখন তুলনা মুলক ভাবে বাড়ে।