ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ধর্ষিতা কিশোরীকে হুমকি। ধর্ষিতা ন্যয় বিচর না পেলে আত্বহত্যার হুমকি দিয়ে ধর্ষিতার পিতা জানায়,আমি ঢাকার সদরঘাটে রিকশা চালাই, বাড়িতে আইয়া হুনি আমার মেয়েরে প্রতিবেশী এক ছেড়া নির্যাতন করছে। এর মধ্যে তিন দিনে সালিসকারী কোনো বিচার করতো পারছে না। অহন আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতো চায়। আমার মেয়েডারে বাঁচাইন। আজ শনিবার সন্ধ্যায় এ প্রতিনিধিকে মোবাইলে এভাবেই কথাগুলো বলেন ভূক্তভোগী কিশোরীর বাবা। এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
রিকশা চালকের বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের একটি গ্রামে। তার মেয়ে (১৬) স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে। তাকে পাশের বুলসোমা গ্রামের আব্দুল মন্নাছের ছেলে মাদরাসা পড়ুয়া মাহদুল্লাহ (১৮) ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেছে কিশোরী।
কিশোরী জানায়, বিদ্যালয় থেকে অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়ায় তা বুঝতে প্রতিবেশী বড় ভাই মাহমুল্লাহ কাছে যায়। বুধবার মাহমুদুল্লাহ তাদের বাড়িতে গেলে এখন নয় রাতে বুঝিয়ে দেবে। এ কথা বলে চলে যায়। পড়ে মাহমুদুল্লাহ ওই কিশোরীর পরিবারের মোবাইল ফোন করে অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে তার কাছে আসতে বলে। পড়ে কিশোরী রাত সাড়ে নয়টার দিকে যাওয়ার সময় ধান ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় মাহমুদুল্লাহকে ঝাপটে ধরে চিৎকার দিলে তার চাচা এলে ধর্ষক মাহমুদুল্লাহ দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাটি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানালে সালিসে বিচার আশ্বাস দিয়েও কোনো কিছু করেনি।
ওই কিশোরী বলেন, ‘আমার নির্যাতনের বিচার না পাইলে আত্মহত্যা করবাম।
সালিসের ঘটনা জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের মিয়া জানান, থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দাখিল করলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগ না পেলে আমাদেরতো কিছু করার থাকে না।