আপদ যেন পিছু ছাড়তেই চাইছে না পাবনার বেড়া উপজেলার নাকালিয়া বাজারের। মাঝে মধ্যেই ঘটছে অগ্নিকাণ্ডের মতো বড় দুর্ঘটনা। এর আগেও দুইবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অনেকেই ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে। এর মধ্যে সামর্থ্য অনুযায়ী অনেকেই ব্যবসা সাজিয়ে বসতে পারলেও যাদের সামর্থ্য নেই তারা হয়েছেন পথের ভিখারি। সেই ঘটনার আবারও পুনরাবৃত্তি হয়েছে শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) রাত ৮: ৩০ মিনিটের দিকে। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১০ থেকে ১২ টি ঘরের মোট ৩০ টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ক্ষয় ক্ষতির পরিমান ধরা হয়েছে আনুমানিক দেড় কোটি টাকা।
খবর পেয়ে বেড়া ফায়ার সার্ভিস, সাঁথিয়া ফায়ার সার্ভিস,এবং কাশিনাথপুর ফায়ার সার্ভিস'সহ তিনটি ইউনিটের সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় টানা তিন ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
শুক্রবার রাতে নাকালিয়া বাজারের আবু বক্করের কীটনাশক দোকান থেকে আগুনের সুত্রপাত হলে মুহুর্তেই চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। এলাকাবাসী জানায়, বিদ্যুৎ শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঔষধের দোকান, মুদিখানার দোকান, বাদামের গুদাম, চাউলের দোকান, ভুষিমালের দোকান, কীটনাশকের দোকান, ইন্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের দোকান, এবং স্বর্নের দোকানসহ মোট ত্রিশটা দোকান পুড়ে ছাই হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের মতে নগদ অর্থ এবং দোকান ঘরসহ প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বেড়া ফায়ার সার্ভিসের সাব অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বেড়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উপস্থিত হয়। পরে বেড়াসহ সাঁথিয়া এবং কাশিনাথপুর ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট স্থানীয় লোকজন মিলে তিন ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। দোকান গুলোতে গ্যাস ট্যাবলেট কীটনাশক ও ভুষি থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে অনেকটা সময় লেগে যায়। বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আনাম সিদ্দিকী জানান, উপজেলা প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আগুনে পুড়ে যাওয়া বাজার পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্যের জন্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। উল্লেখ্য ২০১৬ এবং ২০১৮ সালে নাকালিয়া বাজারে আগুন লাগার ঘটনায় নিঃশ্ব হয়েছেন অনেক ব্যবসায়ী।