November 23, 2024, 10:57 pm
শিরোনাম:
শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক হিসেবে জাতীয় যুব পুরস্কার পেয়েছেন কক্সবাজারের নুরুল আফসার শিকদার মনোহরদীতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন মনোহরদীতে দিনব্যাপী পাট চাষী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত মনোহরদীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে বেধরক মারধরের অভিযোগ মনোহরদীতে জনমত জরিপ ও প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদ সরকার মনোহরদীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী “আলোকিত গোতাশিয়া” ফেসবুক গ্রুপের পক্ষহতে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে অসহায়দের মাঝে শিল্পমন্ত্রীর ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে খননযন্ত্র ও বালুর স্তুপ জব্দ এতিম শিশুদের নিয়ে ইফতার করলেন মনোহরদীর ইউএনও হাছিবা খান

ময়মনসিংহের বাপ্পী লাশ নিয়ে গিয়ে মাংস ছাড়াতো নিরবস্বানে

তাপস কর, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় : সোমবার, নভেম্বর ১৬, ২০২০
  • 261 দেখুন

ময়মনসিংহের বাপ্পী লাশ নিয়ে গিয়ে মাংস ছাড়াত নিরব স্থানে। মানুষ মারা গেলে বাড়িসহ এলাকায় শোকের ছায়া বিরাজ করলেও বাপ্পী থাকে খুশিতে। অবাক হলেও সত্য। এলাকায় কোনো মানুষ মরলেই এক ধরনের খুশি হতো বাপ্পী। তাদের জানাজাতেও অংশ নিতো সে। জানাজা শেষে মুচকি হেসে বাসায় ফিরে যেতো। আর রাতের আঁধারেই নতুন কবরের লাশ তুলে নিজের বাসায় নিয়ে আসতো।

এরপর লাশে কেমিক্যাল মিশিয়ে ঘুমাতে যেতো। বাপ্পী সম্পর্কে এমনই ভয়ংকর তথ্য দিয়েছে স্থানীয়রা। বাপ্পী ময়মনসিংহ নগরীর আর কে মিশন রোড এলাকায়-আশানীড় নামে একটি তিনতলা ভবনের দোতলায় থাকতো। সে নগরীর কালিবাড়ি কবরখানা এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় কাইয়ুম নামে একজন জানান, বাপ্পীর বাসার দোতলার বারান্দা পুরোটাই একটা পর্দা দিয়ে ঢাকা থাকত। বাসার জানালাও কখনো খোলা থাকতে দেখা যায়নি।

আবুল কালাম নামে আরেক ব্যক্তি বলেন, বাপ্পীকে ঘরের বাইরে খুব একটা বের হতেও দেখিনি। তবে সে অনেক রাত জাগতো। রাত ৩টা বা ৪টা পর্যন্ত তার বাসার লাইট জ্বলতো। ভেতরে এত কিছু হতো তা আমাদের ধারণাতেই ছিল না।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার বলেন, কঙ্কাল চুরি চক্রের সদস্যরা কবর থেকে লাশ তুলে কঙ্কাল সংগ্রহ করে চড়া দামে বিক্রি করে আসছিল। এমন সংবাদ পেয়ে গভীর রাতে নগরীর আর কে মিশন রোড এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ১২টি মাথার খুলি, দুই বস্তা হাড়সহ বাপ্পীকে আটক করা হয়।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাপ্পী জানান, ওই বাসাতেই কঙ্কাল মজুত করা হত। সেখান থেকে পাচার করা হত বিভিন্ন স্থানে।

কঙ্কাল চুরি চক্রের সদস্যরা জেলা-উপজেলার বিভিন্ন গোরস্থানের কবর খুঁড়ে লাশ চুরি করে বাপ্পীর কাছে পাঠাত। বাপ্পী তাদের মরদেহে নির্জন স্থান, গভীর অরণ্য বা পাহাড়ি জনপদে নিয়ে কেমিক্যাল ব্যবহারের মাধ্যমে পচিয়ে মাংস থেকে হাড় আলাদা করতেন। মাংস ছাড়ানোর পর গরম পানি দিয়ে ধুয়ে মুছে পরিষ্কারও করতেন। পরে তুলে দিতেন পাচারকারীর হাতে। তাদের মাধ্যমে এই কঙ্কাল চলে যেত মেডিক্যাল শিক্ষার্থী-শিক্ষক, চিকিৎসকসহ পার্শ্ববর্তী দেশ নেপাল ও ভারতে।

বাপ্পীকে জিজ্ঞাসাবাদে সাতজনের নাম পাওয়া গেছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি ফিরোজ তালুকদার।
কিভাবে এত মাথার খুলি ও হাড়গোড় আটককৃত ব্যক্তি সংগ্রহ করেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এদের একটা চক্র আছে। আমরা আরো কিছু নাম পেয়েছি। দেশের বিভিন্ন জায়গায় কবরস্থান থেকে এসব সংগ্রহ করা হয়।

বাংলাদেশে প্রায়শই কবর থেকে হাড়গোড় চুরি যায় বলে অভিযোগ রয়েছে। কবর থেকে কঙ্কাল চুরির দায়ে বেশ কিছু গ্রেপ্তারের ঘটনাও রয়েছে। হাসপাতালের বেওয়ারিশ মরদেহ চুরির ঘটনাও রয়েছে। তবে আইনে দৃষ্টান্ত মুলক স্বাস্থী না থাকায় গ্রেফতারকৃতরা জামিনে মুক্তি পেয়ে পুনরায় এই ব‍্যবসায় জড়িয়ে পড়ে বলে জানান।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর

https://bd24news.com © All rights reserved © 2022

Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102