ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নকল স্বর্ণের প্রতারক চক্রের ৭ জন সদস্যকে আটক করেছে র্যাব-১৪। এ সময় তাদের কাছ থেকে নকল স্বর্ণের বার, স্বর্ণ সদৃশ হাতলযুক্ত চামচ, পপ্লাল মেটাল পলিশ, হাতলসহ এক্স ব্লেড, ড্রিল মেশিন, সিএনজি অটোরিকশা ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে র্যাব-১৪ এর কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-১৪ অধিনায়ক লে. কর্নেল এফতেখার উদ্দিন।
এসময় তিনি বলেন, ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্র প্রতারণার মাধ্যমে স্বর্ণ ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ১২ নভেম্বর একটি অভিযোগ পাওয়া যায়। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাব-১৪ এর আভিযাত্রিক দল ছায়া তদন্তে নামে। চক্রটি ময়মনসিংহ জেলাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় সহজ সরল নিরীহ মানুষদেরকে জালিয়াতির মাধ্যমে নকল স্বর্ণের বার আসল স্বর্ণ হিসেবে উপস্থাপন করে মোটা অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার মধ্যরাতে র্যাব-১৪ একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসময় প্রতারক চক্রের সদস্য রুবেল,মিয়া শিপন,আমিনুল ইসলাম আব্দুর রশীদ, নামে ৪ জনকে গ্রেফতার করে।
তিনি আরও বলেন, এসময় তাদের কাছ থেকে স্বর্ণ সদৃশ নকল স্বর্ণের বার ১০ টি, স্বর্ণ সদৃশ নকল স্বর্ণের হাতলযুক্ত চামচ ২টি, স্বর্ণ সদৃশ নকল স্বর্ণের হাতল ছাড়া চামচ ১টি, পপ্লাল মেটাল পলিশ ১টি, হাতলসহ এক্স ব্লেড ১টি, ড্রিল মেশিন ১টি, সিএনজি অটোরিকশা ১টি, মোবাইল ৫টি জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী থানাধীন শম্ভুগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে সকালে সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য মোশাররফ হোসেন , সাইফুল,রাব্বিল হাসান, নামে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা ঘটনার বিষয়ে প্রাথমিকভাবে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ জনগণের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। এই সমস্ত প্রতারক চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।