তালার পল্লীতে খরিদা সম্পত্তির জবর দখল নিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়াগেছে। এনিয়ে ইউএনও'র নিকট অভিযোগ করলে সপ্তাহ খানেক বন্ধ রাখার পর ফের অদৃশ্য ক্ষমতা বলে বালু উত্তোলন শুরু করেছে দখলদার প্রকাশ মন্ডল গং। ঘটনাটি ঘটেছে কপিলমুনির সীমান্তবর্তী তালার ঘোষনগর গ্রামে।
অভিযোগে জানাগেছে, পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনির নগর শ্রীরামপুর গ্রামের শেখ আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী মজিদা খাতুন গত ২০১৭ সালের ২০ ডিসেম্বর তালা উপজেলার ঘোষনগর গ্রামের মৃত হাজারী লাল মন্ডলের ছেলে শংকর মন্ডলের কাছ থেকে ঘোষনগর মৌজার আর এস ১৬১,১৬১/৬, ১৭৬/১ খতিয়ানের ১৭৩, ১৭৪, ১৭৫, ১৬৭, ১৬৮, ২৩১, ২৩৭, ৩২১, ৩২৭, ৩২৮, ৩২৯, ৩৩০, ৩৩১, ৩৩২, ৩৩৫, ৩৩৬, ৩৩৯, ৩৪১, ৩৫৭, ৩৫৮ দাগের মধ্য হতে ১.৪৫ একর সম্পত্তি খরিদ করে সেই থেকে ভোগ-দখলকার রয়েছেন। যার দলিল নং- ১৪৮৭১ তবে আপোস মিমাংশার স্বার্থে অন্যান্য শরিকগণ তাকে ৩৪১, ৩৫৭, ৩৫৮, ১৭৩ দাগের মধ্য হতে ১.০৬ একর সম্পত্তি বুঝে দিয়ে বাকি সম্পত্তি জবর দখল করে রেখেছে। বিভিন্ন সময় এনিয়ে স্থানীয়ভাবে মিমাংশার জন্য বসাবসি করলেও এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্তে পৌছাতে পারেনি।
সর্বশেষ উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমারসহ জনপ্রতিনিধি ও গণমান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে বসাবসি করে আগামী ১০ পৌষ চুড়ান্ত মিমাংশার জন্য দিন ধার্য্য করলেও তার আগেই প্রকাশ গং ১৭৩, ১৭৪, ১৭৫ ও ৩২৮ দাগের মধ্য অবস্থিত পুকুরসহ অন্যান্য জমি থেকে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন শুরু করেছে। অভিযোগে জানানো হয যে, প্রথমত তারা ৬ নভেম্বর বালু উত্তোলন শুরু করলে মৌখিকভাবে তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল হোসেনের নিকট অভিযোগ করা হয়। এরপর তারা সপ্তাহ খানেক বালু উত্তোলন বন্ধ রাখলেও এক অদৃশ্য ক্ষমতা বলে সর্বশেষ ২২ নভেম্বর বালু উত্তোলন শুরু করেছে।
সম্পত্তি নিয়ে বিবাদমান বিষয়টি নিরসনের স্বার্থ ও বালু উত্তোলনের আইনগত বিষয়গুলিকে সামনে রেখে মজিদা খাতুন ও তার পরিবার বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এব্যাপারে মজিদা খাতুন জানান, তিনি একটি সরকারী ছোট চাকুরী করতেন সেখান থেকে অবসরের পর প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে উক্ত সম্পত্তি খরিদ করে স্বামী-সন্তান নিয়ে কোনভাবে জীবন-যাপন করছেন। তবে জমি কেনার দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হলেও সমুদয় সম্পত্তি বুজে নাপেয়ে উল্টো দখলদার অব্যাহত হুমকি-ধামকিতে রীতিমত নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন তারা।
এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য প্রকাশ চন্দ্র দালাল জানান, বিষয়টি নিয়ে তারা আগামীতে বসাবসি করে মীমাংশার কথা রয়েছে। এর আগে কেউ বিবাদমান সম্পত্তি থেকে বালু উত্তোলন করলে বা কোন প্রকার তছরুপ করলে তা তার জানা নেই।