ঠাকুরগাঁও পৌরসভার নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই ভোটারদের মাঝে গুঞ্জন শুরু হওয়ার পাশাপাশি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। চায়ের দোকান, পাড়া-মহল্লা, রাস্তা-ঘাট, হাটবাজার, অফিস-আদালত সর্বত্র সাধারণ মানুষের মাঝে চলছে পৌরসভা নিয়ে সরগরম আলোচনা।
এবারের নির্বাচনে জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেলকে পৌরসভার মেয়র হিসেবে চায় এলাকাবাসী।
যুবলীগ নেতা আব্দুল মজিদ আপেলকে পৌরসভার মেয়র করার লক্ষ্যে মঙ্গলবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও শহরের সেনুয়াপাড়া এলাকায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করে স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা মুহুরি দোয়াবুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন, আমিন সরকার, পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানা, জাহের আলম বাবু, আনোয়ার হোসেন বাবু, আইনুল হক প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, যুবলীগ নেতা আব্দুল মজিদ আপেল একজন সৎ, সাহসী, পরিশ্রমী ও ত্যাগী নেতা। তাই এবারের পৌরসভার নির্বাচনে সবথেকে এগিয়ে রয়েছেন তিনি। আমরা আশা করি আ.লীগ থেকে থেকে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। আর আমরা তার বিয়জ নিশ্চিত করব।
গোয়ালপাড়া এলাকার সিরাজুল ইসলাম বলেন, যুবলীগ নেতা আব্দুল মজিদ আপেল সকল শ্রেণীর মানুষের উপকার করতে ভালবাসেন। আ.লীগের সংকটময় সময়ে তিনি রাজপথে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। তার নেতৃত্বে যুবলীগ সুসংগঠিত হয়েছে। এক কথায় তিনি একজন ত্যাগী-নিবেদিত নেতা।
বসিরপাড়া এলাকার বাসিন্দা মরিয়ম বেগম বলেন, বিগত সময়ে অনেক মেয়র হয়েছে; কিন্তু আমাদের পৌরসভার দৃশ্যমান তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি। যুবলীগ নেতা আপেলকে মেয়র করা প্রয়োজন; কারণ তিনি জনগণের বন্ধু। আমরা আপেলকেই মেয়র হিসেবে চাই।
এলাকাবাসির মতে, দলমত নির্বিশেষে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মানুষ যুবলীগ নেতা আব্দুল মজিদ আপেলকে মেয়র হিসেবে দেখতে চায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাধারণ মানুষের মধ্যে তার আকাশচুম্বি যে জনপ্রিয়তা রয়েছে তাতে তাকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিলে তার বিজয়ী হওয়া প্রায় শতভাগ সুনিশ্চিত।
ঠাকুরগাঁও পৌরসভার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী যুবলীগ নেতা আব্দুল মজিদ আপেল বলেন, পৌরবাসী আমার সঙ্গে রয়েছে। আমি আশা করি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিবেন। আমি আশাবাদি পৌরসভার মানুষ আমার পক্ষে থেকে আমাকে বিজয়ী করে আনবে।
তিনি বলেন, আমি মেয়র নির্বাচিত হলে আমার প্রথম কাজ হলো পৌরসভা শতভাগ মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত করা। এর পাশাপাশি পৌরসভার মানুষরা যাতে শতভাগ নাগরিক সুবিধা পায় সেদিক আমার সবথেকে বেশি গুরুত্ব থাকবে এবং পৌরসভার উন্নয়নমূলক কাজ দৃশ্যমান হবে।