ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এক কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ এর মধ্যে মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। তা ছাড়া নির্যাতনের শিকার মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মাস্কা ইউনিয়নে।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্র জানায় সোমবার সন্ধ্যায় ওই কিশোরীকে বসতঘরে রেখে তার মা বাড়ির বাইরে যায়। এ অবস্থায় উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে রানা মিয়া (২৪) তার অপর সহযোগী যথাক্রমে কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের নয়াকান্দি (চরনোয়াকান্দিয়া) গ্রামের নজরুল ইসলামের মোবারক হোসেন (১৯) এবং কেন্দুয়ার মাস্কা মাইজপাড়া গ্রামের জুলহাস মিয়ার ছেলে শাহ আলমকে (১৮) সঙ্গে নিয়ে ওই কিশোরীকে মুখ চেপে ধরে অপহরণ করে স্থানীয় ওয়াহাব মুন্সির বাড়ির পোছনের জঙ্গলে নিয়ে যায়। পরে বখাটে রানা মিয়া তার অপর দুই সহযোগীর সহায়তায় মেয়েটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
একপর্যায়ে ওই কিশোরীর মা স্থানীয় কয়েকজনের সহায়তায় নির্যাতনের শিকার মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। মেয়েটি সেখানে চিকিৎসাধীন। পরে এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে মঙ্গলবার থানায় মামলা করে। পুলিশ এর মধ্যে মামলার দুই আসামি যথাক্রমে মোবারক হোসেন ও শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। তবে মামলার এক নম্বর আসামি রানা মিয়া এখনো গ্রেপ্তার হয়নি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেন্দুয়া থানার এসআই লিটন ঘোষ জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এর মধ্যে মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে মামলার এক নম্বর আসামি রানা মিয়া পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তা ছাড়া নির্যাতনের শিকার কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ডাক্তার এর রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানা যায়।