ময়মনসিংহের নান্দাইলে ধর্ষিতা এলাকা ছাড়া কেরাম খেলায় ব্যস্ত ধর্ষনকারী। এক মানসিক প্রতিবন্ধী নারী (৩০) দোকানি কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়ে বিচার না পেয়ে এলাকা ছাড়লেও অভিযুক্ত দোকানী নিজের দোকানে দোকানধারী ছাড়াও নির্বিঘ্নে বন্ধুদের নিয়ে কেরাম খেলছে । এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। পুলিশ ঘটনা জানলেও তিন দিনেও কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। আজ রবিবার সকালে ওই এলাকায় গিয়ে অভিযুক্তকে পাওয়া গেলেও ধর্ষণের শিকার মানসিক প্রতিবন্ধী নারীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এলাকার লোকজন জানায়, প্রভাবশালীদের ভয়ে ওই নারীর বড় বোন এসে বিচার চাইবে না মর্মে মুচলেখা দিয়ে নিয়ে যান। পরে আর তাকে এলাকায় দেখা যায়নি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই নারীর বাড়ি তাড়াইল উপজেলার একটি গ্রামে হলেও পাশেই তাড়াইল ও নান্দাইলের কালিগঞ্জ সড়কের নান্দাইলের রাজগাতি ইউনিয়নের কাশিনগর গ্রামে এক দোকানের পাশে বসে থাকতেন। সেখানে তিনি কাউকে কখনো বিরক্ত করতেন না। বরং এলাকার ছোট শিশুদের নিয়ে হাসি-খুশিতেই মেতে থাকতেন। সন্ধ্যার পর আবার নিজের বাড়িতেই ফিরে যেতেন। গত শুক্রবার বিকেলে ওই নারীকে একা পেয়ে ১শ" টাকার লোভ দেখিয়ে দোকানের ভিতরে নিয়ে যায় কাশিনগর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে মো. উজ্জল মিয়া । পরে দোকানের সাটার বন্ধ করে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে নারীর চিৎকারে লোকজ ছুটে এলে উজ্জল দৌড়ে পালিয়ে যান।
এ সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান খবর পেয়ে গ্রাম পুলিশ পাঠালে উজ্জলের পরিবারের লোকজনের কাছে বাধার সম্মুখীন হয়। চেয়ারম্যান রুকন উদ্দিন জানান, এ অবস্থায় ঘটনাটি নান্দাইল থানার ওসিকে জানালে তিনি নিজ উদ্যোগে পুলিশ পাঠানোর ব্যবস্থার কথা বলে এড়িয়ে যান। পরে তিনি নিজেই ঘটনাস্থলে গিয়ে নারীকে থানায় নিতে চাইলে নারীর বড়বোন অজ্ঞাত কারণে এখানেই মীমাংসার কথা বলেন। সেখানে তিনি বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ধর্ষণের শিকার নারীকে বড়বোনের হাতে তুলে দেন। এ সময় তিনি একটি লিখিত মুচালেখা নেন।
চেয়ারম্যান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি চেয়ারম্যান হিসেবে থানায় জানালেও কোনো ধরনের উদ্যোগ না নেওয়ায় হতাশ হয়েছি। এ বিষয়ে জানতে নান্দাইল থানার ওসি মিজানুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন, আমি এ ঘটনার খোঁজ-খবর নিচ্ছি। তারপরও ওই নারী যদি থানায় এসে লিখিত অভিযোগ না দেন তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেবো। কিন্তু গত তিন দিনেও কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা না করায় জনমনে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলেও পুলিশ রহেছে নিরব ভুমিকায়।