পটুয়াখালীর গলাচিপায় মানবেতর জীবন যাপন করছে জয়দেব মাঝি (৫৭)। জয়দেব মাঝি হচ্ছেন উপজেলার ০২ গোলখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মৃতঃ শ্রী লক্ষী মাঝির ছেলে। জয়দেব মাঝি জানান, আমি দীর্ঘ ১০ বছর পর্যন্ত মা, স্ত্রী সন্তান নিয়ে গলাচিপা ২নং গোলখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সরকারি পরিত্যক্ত আবাসন ঘরে আছি। সেখানে কোন রকম ভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছি।
আমার বাবা থাকাকলিন অবস্থায় পূর্ব গোলখালী গ্রামের ৪নং ওয়ার্ডের দীর্ঘ দিন ছিলাম। এখন পেটের দায়ে জীবন জীবিকার নির্বাহের কাজে বদরপুর বাসস্ট্যান্ডে রাস্তার পাশে ছোট্ট একটি ঝুপরি দিয়ে রিক্সার মেরামতের কাজ করি।আমার বাবার জায়গা জমি না থাকায় আবাসন প্রকল্পে ছিলাম। দীর্ঘ ৯/১০ বছর ধরে অস্থায়ী ভাবে ভাসমান অবস্থায় হরিদেবপুর মোঃ লিকন হাজীর পরিত্যক্ত একটি টিন সেট ঘরে কোন রকমের মাথাগোজার ঠাইটুকু মিলিয়েছি।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার আকুল আবেদন যাহাতে আমার স্থায়ী ভাবে একটি ঘরের জায়গা জদি পাইতাম তাহলে আমার পরিবার পরিজন নিয়ে শান্তিতে বসবাস করতাম।জয়দেব মাঝি আরও বলেন যে, আমার দৈনিক আয়ের টাকা দিয়ে আমার সংসার চালানো দায়। আমার পরিবারের কেউ অসুস্থ্য হলে তাদের ডাক্তার দেখানো ও ঔষধ কিনে দেয়ার মতো সম্বল আমার নেই।
এ বিষয় গোলখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ মনির মীর এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জয়দেব মাঝির বাবা থেকেই অনেক কষ্ট করেছে তার ছেলে জয়দেব মাঝিও তার পরিবারটি নিয়ে অনেক কষ্টের ভিতরে আছে। এ বিষয় গোলখালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দিন হাওলাদার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আসলে জয়দেব মাঝি অত্যন্ত অসহায়। আমার ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে তার ১০টাকার ল্যজ্য মূল্যে ফেয়ার কার্ডের ব্যবস্থা করেছি।