সাতক্ষীরা তালা উপজেলার সরকারি-বে-সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্টানে পরীক্ষা ছাঁড়া ক্লাসে উত্তীর্ণের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলায় সরকারী - বে-সরকারী মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্টানের সংখ্যায় ৬৪ টি,এর মধ্যে মাদ্রাসাও রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্টান গুলো সরকারী নীতিমালা উপেক্ষা করে নিজেদের ইচ্ছা খুশি মত টাকা ধার্য করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যে টাকার পরিমান ৭শ থেকে ১ হাজার পর্যন্ত। অভিভাবকদের অভিযোগ ইতিমধ্যে ধার্যকৃত টাকার জন্য মুল্যয়ান খাতা জমা দিতে আসলে ছাত্র-ছাত্রীদের উপর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে ।
তালা শহীদ আলী আহম্মাদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণেীর ছাত্রী জান্নাতুল তোহার বাবা শেখ আমিনুল ইসলাম এপ্রতিনিধিকে জানান, সামান্য চায়ের দোকান তার । এই চায়ের দোকান থেকেই চলে ৫সদস্য সংসারে ছেলে- মেয়েদের লেখাপড়াসহ অসুস্থ স্ত্রী ভারণপোষন।
এমতাঅবস্থায় তার মেয়ে শহীদ আলী আহম্মাদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণেীর জান্নাতুল তোহাকে পরীক্ষা ছাড়া অষ্টম শ্রেণীতে উত্তীর্ণের জন্য ১৭৬০টাকা ধার্য করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক।এতটাকা তার পক্ষে দেয়া সম্ভব নয়। বাধ্য হয়ে তার মেয়ে জানানাতুল তোহা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট ফিস কমানোর জন্য গত ৯ ডিসেম্বর একটি আবেদন করেন।জান্নাতুল তোহার সেই আবেদনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টাকা কম নেওয়ার সুপারিশও করেন।সেই সুপারিশ কৃত আবেদন পত্রসহ ৭শ টাকা নিয়ে প্রধান শিক্ষক অলোক কুমার তরপদারের কাছে গেলে তিনি তোহ কে বকাবকি করে স্কুল থেকে বের করে দেন।এঘটনায় জান্নাতুল তোহা মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন বলে জানান বাবা আমিনুল ইসলাম।
এবিষয়ে তালা শহীদ আলী আহম্মদ বালিকা সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অলোক কুমার তরপদার এপ্রতিনিধিকে বলেন, পরীক্ষা ছাঁড়া ক্লাসে উত্তীর্ণের জন্য ছাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত কোন অর্থ নেয়া হচ্ছে না। তোহা আমার স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী,তার সাথে খাপার ব্যবহারের প্রশ্নই আশে না। সে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সুপারিশ কৃত আবেদন পত্র নিয়ে এসেছিল।আমি সেটা জমা রেখেছি।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্কুলের সভাপতি তিনি যে ভাবে দিক নির্দেশনা দিবেন সে ভাবেই ছাত্রীদের উপরের ক্লাসে উত্তীর্ণ করে ভর্তি করা হবে।
এ বিষয়ে তালা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতিয়ার রহমান এপ্রতিনিধিকে জানান ,করোনা ভাইরাস ব্যাপক ভাবে সংক্রমনরে আগে জানুয়ারী থেকে মার্চ পর্যন্ত স্কুল গুলোতে ক্লাস হয়েছে।পরে করোনা ভাইরাস সংক্রমের ঝুকি থাকায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনা করেন সরকার। যেহেতু সকল স্কুলে ৩ মাস ক্লাস হয়েছে সে হিসাবে ৩মাসের বেতনসহ সকালের সমাবেশের জন্য বাৎসরিক ২০ টাকা ও আই সি টি ক্লাসের জন্য বাৎসারিক ২০ টাকা নিতে পারবে।এ ক্ষেত্র বিদ্যালয় বিশেষ সর্বমোট ২শ থেকে ৩ শত টাকা নিতে পারবেন।তবে কোন শিক্ষার্থীর উপর চাপ প্রয়োগ করে অর্থ নেওয়া যাবে না।
এ বিষয়ে তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন এপ্রতিনিধিকে বলেন, ক্লাসে উত্তীর্ণের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা যাবে না।যদি কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে সে সকল শিক্ষা প্রতিষ্টানের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে সচেতন অভিভাবক মহল জানান, মহামারি করোনা কালীন সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস না চল্লেও শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতা সঠিক সময়ে প্রদান করেছে সরকার। করোনাকালীন সময় সরকার সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা প্রদান করলেও পরীক্ষা ছাঁড়া ক্লাসে উত্তীর্ণের জন্য অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে এটা অত্যন্ত দঃখ জনক।করোনাকালীন সমায়ে কর্মহীন হয়ে পড়া অভিভাবকরা যে মানবেতর জীবন যাপন করেছেন তা কেবল মাত্র অভিভাবক রায় জানেন।