ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা সদরে প্রবাহমান খালগুলো প্রভাবশালীদের দ্বারা দখলের প্রতিবাদে ও খালের জমি উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা। আজ রবিবার বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে দুর্নীতি প্রতিরোধ মঞ্চের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোক্তার হোসেনের কাছে স্বারকলিপি দেন আন্দোলনকারীরা।
জানা যায়, উপজেলা সদরের ভেতর থেকে প্রবাহিত তিনটি খাল জাঙ্গালিয়া নদী ও রাজাপুর খালের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। উপজেলা সদরের বাজার ও বাইপাস মোড় হয়ে জাঙ্গালিয়া নদীতে মিশেছে একটি খাল। উপজেলা সদরের গোরেস্থান সড়ক হয়ে উপজেলা পরিষদের পেছন থেকে একটি খাল সাউথপুর সেতু এলাকায় রাজাপুর খালের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। এ ছাড়াও উপজেলা সদরের সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে থেকে প্রবাহিত হয়ে আরো একটি খাল সংযুক্ত হয়েছে বাঘড়ি সেতু এলাকায়। এই তিনটি খালই বর্ষা মৌসুমে উপজেলা সদরের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা করে। অথচ উপজেলা সদরের ভেতর থেকে প্রবাহিত খালগুলোর অধিকাংশ জায়গাই প্রভাবশালীরা যে যার মতো করে দখল করে নিয়েছেন। তাই বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা থেকে বাঁচতে দীর্ঘদিন ধরে এই খালগুলো দখলমুক্ত করে তা খননের দাবি করে আসছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, উপজেলা সদরের পঞ্চাশ ফুট প্রস্থের খালগুলো অবৈধ দখলের কারণে কোনো কোনো জায়গায় সংকুচিত হয়ে তা নালায় পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি সময়ে উপজেলা সদরের একটি খালের দখল হওয়া জমিতে সড়ক নির্মাণের উদ্দ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। খালের জায়গায় সড়ক নির্মাণ করা হলে তা স্থায়ী রূপ নেবে। তাই সড়ক নির্মাণে আগে উপজেলা সদরের ভেতর থেকে প্রবাহমান খালগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে দখলমুক্ত করে তা খননের দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, শুক্তাগড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুল হক মৃধা, সাবেক অধ্যক্ষ শাহজাহান মোল্ল্যা, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) রাজাপুর শাখার চেয়ারম্যান আবুল হাসনাথ সুমন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. পারভেজ বাবু, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আহসান হাবিব রুবেলসহ উপজেলার শতাধিক বাসিন্দা।