"পিশাচের হাসি"
-সামিয়া তাসনীম স্বাতী
.
'ধর্ষণ'?
হুম!
সেই ঘৃণ্য শব্দটির কথাই বলছি,
যে শব্দটি আমার জাতির
লজ্জা কেড়েছে,
সম্মান কেড়েছে,
আর, বারংবার লোভী করেছে ওই নিষ্ঠুর কুকুরগুলোকে;
হুম!
আমি সেই ক্ষুদ্রচেতাদের কথা বলছি,
আমি সেই ক্লিন্ন,ক্লেদাক্ত মনগুলোর কথা বলছি,
হুম,সেই ভয়ংকর শকুনগুলোর কথা-ই বলছি।
এই সেই জন্তুরা!
যারা মান কেড়েছে আমার ক্লান্ত জাতির,
সেই নারীজাতির,
যাঁরা কিনা প্রত্যহ এক-একটি বেদনার সাথে সন্ধি করে যুদ্ধ চালায়!
যাঁরা নিশিগন্ধা ফুলের মতো এক কোণে পড়ে থেকে সুভাস ছড়ায়!
যাঁরা একটি সুখী সংসারের প্রতিষ্ঠা ঘটায়!
যাঁরা নিজেদের গড়ে তুলেছে শালীনতার প্রতীকে!
যাঁরা চিরকাল উৎসাহ দিয়েছে প্রতি পুরুষের যুদ্ধে!
যাঁরা নিশাচর হয়েছে কতো কতো করুণ প্রহরে!
এই সেই নারীজাতি!
যাঁরা তোদের জুগিয়ে চলে প্রতিদিনকার আহার রসদ!
হে অকৃতজ্ঞের দল!
তোরা এই নারীজাতিকে আজ উৎপীড়িত করেছিস!
অপমানে অপমানে তাঁদের আবৃত করেছিস!
আচ্ছন্ন করেছিস তোদের ওই বৈকল্য তেষ্টায়!
এই নারীজাতিকে বিধ্বস্ত করেছে সেই বিকৃত কুকুরগুলো,
আমি সেই উন্মাদদের কথা বলছি!
তাদের সেই উন্মূলন মস্তিষ্কের কথা বলছি,
সেই অনাহূত বিড়ালতপস্বীদের কথা বলছি।
হে ঘৃণ্য, জঘন্য পিশাচ!
আমি তোদের কথা-ই বলছি,
তোদের মতো বিকলাঙ্গ কুকুরগুলোর কথা বলছি,
তোদের কথা-ই,
যারা রাস্তায় রাস্তায় মদের ছাপ ফেলিস,
যারা বিষাক্ত অ্যালকোহলের নেশায় মেতে উঠিস!
যারা মাতাল হোস বাকি অর্ধেক জাতির দিনকে রাত করার জন্যে,
বেসামাল হোস তোদের ওই জানোয়ারের প্রতিকৃতিটুকুর জন্যে!
হায়!
শুনেছি,
পৃথিবীতে আজ দূর্যোগ নেমেছে!
আকাশেও নাকি বিক্ষোভ চলছে!
সেখানে মেঘেরাও বলতে চায়,
আর পারি না দেখতে এসব,
আবদার-অন্যায়!
নাম: সামিয়া তাসনীম স্বাতী
প্রতিষ্ঠান: চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ (একাদশ শ্রেণী)