পটুয়াখালীর গলাচিপায় শীতের প্রকোপ যত বাড়ছে শীত জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। এ কারনে শীত জনিত নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও শ্বাস কষ্ট জনিত রোগ প্রতিরোধে সর্তক থাকার প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাদের আশংকা শৈত্যপ্রবাহ বাড়লেই বাড়বে ডায়রিয়া ও শ্বাস কষ্ট সহ শীত জনিত রোগ। ঠান্ডার কারনেই হাসপাতালে শীত জনিত ডায়রিয়া আক্রান্ত ও শ্বাস কষ্ট জনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এদের বেশীর ভাগই শিশু। ঠান্ডার কারনে বেশিরভাগই শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
শনিবার গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মো. মনিরুল ইসলাম জানান, এক বছরে শীত জনিত রোগে শিশুরা ও বৃদ্ধারা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তাদেরকে হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে বাড়িতে পাঠানো হচ্ছে। রোগী কহিনুর বেগম (৬৫) জানান, আমি এই শীতে শ^াস কষ্টে ভুগছিলাম হাসপাতালে এসে ভর্তি হলে এখন সুস্থ বুঝি কালকে চলে যাব। এক শিশু রোগীর মা জান্নাতুল বেগম জানান, আমার ৫ মাসের একটি পূত্র সন্তান ঠান্ডা জনিত কারনে নিমনিয়া হয়েছিল। হাসপাতালে ৪ দিন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ বুঝে কাল চলে যাব।
এ ব্যাপারে অন্যান্য চিকিৎসকরা বলেন, গত এক মাসে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ঠান্ডা জনিত কারনে ৬০ জন শিশু ও ২৫ জন বৃদ্ধ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। দূষিত পানি, দূষিত খাবার এবং পরিবেশের কারনে বিভিন্ন বয়সের শিশু ও বৃদ্ধ সহ সমস্ত মানুষই কম বেশী আক্রান্ত হচ্ছে। সেজন্য সব সময় হাত পরিষ্কার রাখা, টয়েলেট ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে হাত-পা ধোয়া ও ছোট শিশুদের শুধু মায়ের বুকের দুধ পান করানো। ডায়রিয়া হলে ওরস্যালাইন খাওয়ানোর সর্তকতা হিসেবে আমরা এই মেসেজগুলো দেই। চিকিৎসকরা আরও বলেন, শৈত্যপ্রবাহ বাড়লে শীত জনিত রোগে বৃদ্ধ ও শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুকি রয়েছে। এ অবস্থায় রোগীদের সর্তক থাকা প্রয়োজন।