মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে বাগেরহাটের ৪৩৩ পরিবারকে ঘর দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে বেশিরভাগ ঘর নির্মান সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (২৩ জানুয়ারি)প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করার পরে আমরা উপকারভোগীদের মাঝে দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হবে।বৃ হস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মুজিবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীণ ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান বিষয়ক প্রেস ব্রিফিংয়ে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আনম ফয়জুল হক এসব কথা বলেন।
এসময়, বাগেরহাট স্থানীয় সরকার বিষয়ক উপ-পরিচালক দেব প্রসাদ পাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব ) মোঃ শাহিনুজ্জামান, বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোছাব্বেরুল ইসলাম, সাংবাদিক আজমল হোসেন, আলী আকবর টুটুল, ইয়ামিন আলী বক্তব্য রাখেন। প্রেসব্রিফিংয়ে বাগেরহাটে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা অংশগ্রহন করেন।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আনম ফয়জুল হক বলেন, বাগেরহাটের ৯ উপজেলার প্রত্যেকটিতে বরাদ্দ দেওয়া ঘরগুলোকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা খুবই গুরুত্বের সাথে নির্মান করেছেন। ঘর তৈরিতে ব্যবহৃত নির্মান সামগ্রী ও উপকার ভোগী নির্বাচনেও যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে নির্বাচিত উপকার ভোগীদের নামে জমির দলিল ও সনদপত্র প্রস্তুত করা হয়েছে। শনিবার (২৩ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করার পরে আমরা উপকারভোগীদের মাঝে দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করব।
আশ্র্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় বাগেরহাট জেলার ৯টি উপজেলায় ৪‘শ ৩৩টি ঘর নির্মান করা হচ্ছে। এর মধ্যে বাগেরহাট সদর উপজেলায় ৫২, কচুয়ায় ৩০, চিতলমারী ১৭, মোল্লাহাটে ৩৫, ফকিরহাটে ৩০, রামপালে ১০, মোংলায় ৫০, মোরেলগঞ্জে ৬ এবং শরণখোলা উপজেলায় ১‘শ৯৭টি ঘর নির্মান করা হচ্ছে।