দরিদ্র অসহায় মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে বাগেরহাটে ফ্রি এ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করেছে ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন। ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে পরিবেশ বান্ধব এ এ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করা হয়েছে। এলজিএসপির অর্থায়নে ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ব্যাটারি চালিত ইজি বাইককে (পরিবর্তন) করে এ এ্যাম্বুলেন্সটি তৈরী করা হয়েছে। ষাটগম্বুজ ইউনিয়নের ৩৩ হাজার ১‘শ মানুষ বিনামূল্যে এই এ্যাম্বুলেন্স সেবা গ্রহন করতে পারবেন। ষাটগম্বুজ ইউনিয়নের বিনামূল্যে এ এ্যাম্বুলেন্স সেবা ইতি মধ্যে বাগেরহাট জেলা জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টির পাশাপাশি জনসাধারনের কাছে ব্যাপক প্রশংসা পাচ্ছে।
ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আক্তারুজ্জামান বাচ্চু বলেন, ষাটগম্বুজ ইউনিয়নের জনসাধারনের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে আমরা অঙ্গিকারবদ্ধ। আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের সল্প আয়। এ সল্প আয়ের মধ্যেও আমার গত ১ জানুয়ারী থেকে ইউনিয়নের অসহায়-দরিদ্র মানুষের কথা চিন্তা করে পরিবেশ বান্ধব এ এ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করেছি। যাতে জরুরী মুহুর্তে ইউনিয়নের কোন মানুষ যেন প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়। ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদের পাশেই একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। সেখানে ইউনিয়নের গর্ভবতি মায়েদের বিভিন্ন স্বাস্থ্য সেবাসহ বাচ্চা প্রসবের ব্যবস্থা আছে। অনেক সময় গর্ভবতি মাসহ কিছু রোগী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে গুরুত্বর সমস্যায় পরেন। টাকার অভাবে অনেকে হাসপাতালে যেতে পারেন না। সেসব রোগীরা বিনামূল্যে এ এ্যাম্বুলেন্স সেবা পাবেন।
এছাড়া জরুরী মুহুর্তে দিনেরাতে যে কোন সময় ফোন পেলেই ইউনিয়নবাসীর স্বাস্থ্যসেবায় এ এ্যাম্বুলেন্স হাজির হয়ে যাবে।
এ্যাম্বুলেন্স এর চালক চঞ্চল শেখ বলেন, ইউনিয়নের মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় আমরা সব সময় নিয়োজিত রয়েছে। দিনে রাতের যে কোন সময় ফোন পেলেই আমরা ছুটে যাচ্ছি সেখানে। যে কোন স্বাস্থ্য সেবায় বাগেরহাট সদর হাসপাতালসহ যে কোন ক্লিনিক বা হাসপাতালে রোগী যৌছে দিচ্ছি আমরা। মানুষের স্বাস্থ্য সেবার জন্য জরুরী মুহুর্তে ষাটগম্বুজ ইউনিয়নবাসিদের তিনি “০১৭৮৭৮৮১০৬৮” নাম্বারে ফোন করার অনুরোধ জানান।
এদিকে, ষাটগম্বুজ ইউনিয়নের দরিদ্র ও অসহায় মানুষ বিনামূল্যের এ এ্যাম্বুলেন্স সেবায় আনন্দ প্রকাশ করেছেন। ইউনিয়নে ফ্রি এ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু হওয়াতে সাধুবাদ জানিয়ে ষাটগম্বুজ ইইনিয়নের পশ্চিমডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা হোসেন আলী শেখ বলেন, আমাদের পশ্চিডাঙ্গা গ্রামে অনেক দরিদ্র পরিবার বসবাস করে। টাকার অভাবে অনেক সময় জরুরী মুহুর্তে আমরা এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে পারি না। বিনামূল্যের এই এ্যাম্বুলেন্স অমাদের সে সমস্যা সমাধান করে দিয়েছে। আমি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ সকলকে ধন্যবাদ জানাই।
পাটরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ফতেমা বেগম বলেন, “আমি তো গরীব মানুষ। হাট-বাজারে সবজি বিক্রি করে আমার সংসার চলে। অসুস্থ্য হলে ডাক্তার দেখানোর ক্ষেমতা আমার নেই। সেখানে দরকারের সময় এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। ইউনিয়ন থেকে এই এ্যাম্বুলেন্স হওয়ার কারনে আমাদের অনেক উপকার হইছে”