ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভা নির্বাচনের শেষ মুহুর্তে আদালতে মাধ্যমে প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছে স্বতন্ত্র ( আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ) প্রার্থী কেএম মাছুদ খান। মঙ্গলবার সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগ কেএম মাছুদ খানের প্রার্থীতা বহাল রাখার নির্দেশ দেন। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহামুদ হাসানের নেতৃত্বে চার বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শুনানী শেষে চেম্বার জজ আদালতের স্থগীতাদেশ প্রত্যাহার করেন। এর ফলে কেএম মাছুদ খানের নির্বাচন করতে আপাতত আর কোন বাঁধা রইল না। কেএম মাছুদ খানের পক্ষে শুনানীতে অংশ নেন ব্যারিষ্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল । মাসুদ খানের আইনজীবী আকতার রসুল মুরাদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
মামলা সংক্রান্ত কারনে গত ৪ জানুয়ারি বাছাইয়ে কেএম মাছুদ খানের মনোনয়নপত্র বাতিল করে জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা ওয়াহেদুজ্জামান মুন্সি। এর পরে জেলা প্রশাসকের কাছে আপীল করেও মনোনয়ন ফিরে না পাওয়ায় হাইকোর্টে প্রার্থীতা ফিরে পেতে রিট আবেদন করেন কেএম মাসুদ খান। ১৩ জানুয়ারি শুনানী শেষে বিচারপতি খসরুজ্জামান ও মাহামুদ হাসান তালুকদারের যৌথ বেঞ্চ তার প্রার্থীতা বৈধ ঘোষনা করেন। একই সাথে প্রতীক বরাদ্দ দিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়রার সুযোগ করার রির্টানিং কর্মকর্তাকে নিদের্শ দেয়া হয়।
কিন্তু পরবর্তীতে রাষ্ট্রপক্ষ এ আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে আপীল করেন। গত মঙ্গলবার ৮ সপ্তাহের জন্য এ আদেশ স্থগিত করেন। প্রার্থীতা ফিরে পেতে সুপ্রীম কোর্টের আপীল করেন কেএম মাছুদ খান। এর প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহামুদ হাসানের নেতৃত্বে চার বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শুনানী শেষে কেএম মাছুদ খানের প্রার্থীতা বহাল রাখার নির্দেশ দেয়। আগামী ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় ধাপে ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।