বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ জলসীমার সুন্দরবন উপকূলের পূনীডাউন এলাকার গভীর সাগরে ঢুকে অবৈধ ভাবে মাছ আহরণকালে দুটি ফিশিং ট্রলারসহ ২৮ ভারতীয় জেলেকে আটক করেছে মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের সদস্যরা। শুক্রবার দুপুরে গভীর সমুদ্র থেকে এফবি স্বর্ণতারা ও এফবি শঙ্খদ্বীপ নামের দুটি ফিশিং ট্রলারসহ ২৮ ভারতীয় জেলেকে রাতে সাগর থেকে এনে মামলা দিয়ে বাগেরহাটের মোংলা থানায় হস্তান্তর করেছে কোস্টগার্ড সদস্যরা। ভারতীয় ট্রলার দুটিতে বিপুল পরিমান মাছ মোংলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে নিলামে বিক্রি করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে মোংলা থানা পুলিশ।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, শুক্রবার দুপুরে মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের সদস্যরা টহলযান বিসিজিএল স্বাধীন বাংলা’য় করে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ জলসীমায় সুন্দরবন উপকূলের গভীর সাগরে টহলদান কালে দুটি ভারতীয় ফিশিং ট্রলারকে মাছ ধরতে দেখতে পায়। কোস্টগার্ড সদস্যরা এগিয়ে এলে ভারতীয় ট্রলার দুটি পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে। এসময়ে এফবি স্বর্ণতারা ও এফবি শঙ্খদ্বীপ নামের দুটি ফিশিং ট্রলারসহ ২৮ ভারতীয় জেলেকে আটক করে কোস্টগার্ড সদস্যরা। আটক ভারতীয় জেলেরা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ-চব্বিশ পরগোনা জেলার বাসিদ্ধা। দুটি ফিশিং ট্রলারসহ ২৮ ভারতীয় জেলেকে রাতে সাগর থেকে এনে মামলা দিয়ে বাগেরহাটের মোংলা থানায় হস্তান্তর হস্তান্তর করেছে কোস্টগার্ড সদস্যরা। ভারতীয় ট্রলার দুটিতে বিপুল পরিমান মাছ মোংলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার এ জেড এম তৌহিদুর রহমানের উপস্থিতিতে নিলামে বিক্রি করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে মোংলা থানা পুলিশ।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে সমুদ্রসীমা লঙ্ঘনের অপরাধে ১৯৮৩ সালের সমুদ্রসীমা আইনের ২২ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার আটক ভারতীয় জেলেদের আদালতের মাধ্যমে বাগেরহাট জেল হাজতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এর আগে এর আগে গত বছরের ২ ডিসেম্বর ১৭ জন জেলেসহ ‘এফ বি মা শিবানী’ ও ২৩ ডিসেম্বর ১৬ জন জেলেসহ ‘এফবি মঙ্গল চন্ডি’ ট্রলার আটক করে মোংলা কোস্টগার্ড।