বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা মিঠাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইস্রাফিল হাওলাদারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকীসহ গালিগালাজ করে এক মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকে চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ওই মুক্তিযোদ্ধা। সোমবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন মোংলা উপজেলার ধনখালী গ্রামের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা কেশব লাল মন্ডল।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, মিঠাখালী ইউপি চেয়ারম্যান ইস্রাফিল হাওলাদার বিএনপির আমলে ছিলেন জামায়াতের ছাত্র শিবিরের ক্যাডার। গত ইউপি নির্বাচনের পূর্বে মোংলা উপজেলা আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতাদের সহায়তায় সে রাতারাতি আওয়ামী লীগ নেতা বনে যান। ছাত্র শিবিরের ক্যাডার থেকে হয়ে যান মোংলা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি। এরপর থেকেই চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী এলাকায় ত্রাশের রাজত্ব কায়েম করে। টেন্ডারবাজি, সরকারি জায়গা দখলসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে রাতারাতি বনে যান ধনকুবের। তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললে তার উপর চলে অত্যাচার-নির্যাতনের।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী এলাকার অসহায় নিরীহ মানুষের উপর বিভিন্ন সময় অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে আসছে। সে তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি জায়গা দখল করেছে। এতে প্রতিবাদ করায় চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমাকে প্রকাশ্যে হুমকী, মিথ্যা মামলায় জাড়ানোসহ গালিগালাজ করে লাঞ্চিত করে। সে আমার ভাইপো সুখদেব মন্ডলকে বেধড়ক মারপিট করে গুরুত্বর আহত করে। তার ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। বর্তমানে তার ভয়ে আমি গ্রাম ছেড়ে আমাকে পালিয়ে বেড়াতে হয়। এ অবস্থায় চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে তিনি প্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।