বাগেহাটের শরনখোলায় মাদকসেবী, কুখ্যাত সন্ত্রাসী, ১৭ মামলার আসামী সাইফুল মোল্লার বিরুদ্ধে ফুসে উঠেছে এলাকাবাসী। সাইফুলের অপকর্মের প্রতিবাদ ও শাস্তির দাবিতে রবিবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে শরণখোলা উপজেলার রাজৈর কলেজ মোড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে এলাকাবাসী। এসময়, খোন্তাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন, শরণখেলা উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খোকন, আওয়ামী লীগ নেতা, মেজবা উদ্দিন খোকন, স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুর রহীম, সাইফুলের অত্যাচারের শিকার অটো চালক মোঃ ইব্রাহিম, ফেলেক্সি লোড ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম শুকুর, মোঃ গাউসুল হক, অভিযুক্ত সাইফুল মোল্লার শ্বশুর আসলাম খলিফাসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা বক্তব্য দেন।শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের রাজৈর, খোন্তাকাটাসহ আশপাশ এলাকার সহস্রাধিক মানুষ মানববন্ধনে অংশগ্রহন করেন।
সাইফুল মোল্লা রাজৈর গ্রামের মো. নুরুল হক মোল্লার ছেলে।
বক্তারা বলেন, সাইফুল মোল্লা একজন পেশাদার সন্ত্রাসী। গেল ১০ থেকে ১২ বছর থেকে সাইফুল এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মারধর, কোপাকুপিসহ সবধরণের অপরাধ করেছেন। তার অপকর্মের কারণে এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল।সাইফুল মোল্লা স্থানীয় আসলাম খলিফার কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে জোর করে বিয়ে করে। পরে মেয়েটি তার সাথে সংসার করতে রাজি না হলে, সাইফুল আসলাম খলিফার জীবীত গরুর চারটি পায়ের রগ কেটে ফেলে। সম্প্রতি ফেলেক্সি লোড ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম শুকুরের গলাল দাও ধরে ৩৬ হাজার টাকাসহ কয়েকটি মোবাইল ছিনতাই করেছে। অটো ভ্যান চুরি করায় বাঁধা দিলে ভ্যান চালক ইব্রাহীমকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। সাইফুল মোল্লা নেশাগ্রস্থ অবস্থায় তার পিতা নুর মোল্লার উপরও অমানুষিক অত্যাচার করেছেন। এসব ছাড়াও সাইফুলের অপকর্মের জন্য এলাকাবাসী অতিষ্ট ছিল। আমরা সাইফুলের বিচার চাই।সন্ত্রাসী সাইফুলকে যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দেন, তাদেরকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান এলাকাবাসী।সাইফুল একাধিকবার পুলিশের হাতে আটক হলেও আইনের ফাক ফোকর দিয়ে বের হয়ে এসে আবারও অপরাধ কর্মে জড়িয়ে পরে বলে দাবি স্থানীয়দের।
শরনখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান বলেন, সাইফুলের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি, দস্যুতা, অস্ত্র আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন, সিধেল চুরি, মারামারিসহ ১৬টি মামলা রয়েছে। সাইফুলকে আটকের জন্য পুলিশের তৎপরতা ছিল। কিন্তু সে পলাতক জীবন যাপন করত। ২৪ জানুয়ারি স্থানীয় কে বা কারা তার চোখ উপরে ফেলার চেষ্টা করে সে বিষয়ে আমরা খোজ খবর নিচ্ছি। সাইফুলের বাবা বাবা নুর মোল্লা কয়েকজনের নাম উল্লেখসহ ১৮জনকে আসামী করে শরণখোলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।আমরা তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করব।
২৪ জানুয়ারি ভোররাতে সাইফুলকে মারধর করে এবং চোখ খুচিয়ে রক্তাত্ত অবস্থায় শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের মঠের পাড় এলাকায় ফেলে রেখে যায় দূর্বৃত্তরা। সাইফুল এখন ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।