ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ভোট হয়নি-নির্বাচনী-ফলাফলে সিল-স্বাক্ষর দিলেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা! নেই কোনো-প্রচার-প্রচারণা,টানানো হয়নি ভোটার তালিকা-ছিল না কোনো প্রার্থী, বিক্রি হয়নি মনোনয়নপত্র। তাছাড়া এখনো রয়েছে পূর্বের কমিটির মেয়াদ। তবু মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনী ফলাফল শিটে সিলসহ স্বাক্ষর করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং কর্মকর্তা। তিনি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের একজন কর্মকর্তা। এমন ভুয়া নির্বাচনী ফলাফল বিষয়ে অভিযোগ উঠেছে মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার ছাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এমন তুঘলকি কাণ্ড ঘটেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ৭৪ বছরের পুরানো রাওলেরচর দাখিল মাদরাসায়।
একজন সরকারি কর্মকর্তার এ ধরনের আচরণের ঘটনায় ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাউলের চর, নিজগাঁও, বড়ইগ্রামের শতাধিক শিক্ষার্থীর অভিভাবক, জমিদাতার পরিবারের সদস্য ও সচেতন মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বিক্ষুদ্ধ লোকজন গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর একটার দিকে মাদরাসার মাঠে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার ছাইদুল ইসলামের নানা দুর্নীতি, নৈতিক স্খলন ও অনির্বাচিতদের নির্বাচিত দেখিয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের অভিযোগ করেছেন।
ওই সংবাদ সম্মেলনে মাদরাসায় আদৌ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে কিনা তা যাচাই না করে উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপার ভাইজার আবু হানিফা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান কীভাবে ফলাফল বিবরণী স্বাক্ষর করে সত্যায়ন করলেন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
মাদরাসা জমিদাতা পরিবারের সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম শিপু বলেন, ১৯৪৭ সালে মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠার সময় তার দাদী জয়তুন্নেছা ৭.৫০ একর জমি দান করে গেছেন। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত সুপার ছাইদুল ইসলাম জয়তুন্নেছার পরিবারের কাউকে দাতাসদস্য না করে নিজের বড়ভাই আউয়ালকে দাতাসদস্য করেন।
মাদরাসার অফিস সহকারী মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, যাবতীয় করণিক কাজ তিনি করেন। কিন্তু ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন উপলক্ষে মাদরাসা থেকে কোনো মনোনয়নপত্র বিক্রি করা হয়নি। নির্বাচনী কোনো প্রচারণা চালানো হয়নি। ভোটার তালিকাও টাঙানো হয়নি। নির্বাচন সংক্রান্ত কগাজপত্র তার কাছে নেই।
নির্বাচন না করেও ফলাফল বিবরণীতে কীভাবে স্বাক্ষর করলেন জানতে চাইলে উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপার ভাইজার আবু হানিফা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান এই প্রতিনিধিকে বলেন, ভাইরে! বিশ্বাসেই সব করেছি। মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার ছাইদুল ইসলাম আমাকে কাগজপত্র এনে দিয়েছেন। তাকে বিশ্বাস করে আমি কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেছি।