October 7, 2024, 1:54 pm
শিরোনাম:
মনোহরদীতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন মনোহরদীতে দিনব্যাপী পাট চাষী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত মনোহরদীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে বেধরক মারধরের অভিযোগ মনোহরদীতে জনমত জরিপ ও প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদ সরকার মনোহরদীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী “আলোকিত গোতাশিয়া” ফেসবুক গ্রুপের পক্ষহতে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে অসহায়দের মাঝে শিল্পমন্ত্রীর ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে খননযন্ত্র ও বালুর স্তুপ জব্দ এতিম শিশুদের নিয়ে ইফতার করলেন মনোহরদীর ইউএনও হাছিবা খান ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে বিজয়ী মনোহরদীর সন্তান এ্যাড.কাজী হুমায়ুন কবীর

নান্দাইলে ধর্ষণের অভিযোগ তদন্তে করতে গিয়ে মীমাংসার চেষ্টা

তাপস কর, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১
  • 215 দেখুন

ধর্ষণের অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে মীমাংসা। ঘঠনাটি ঘঠেছে ময়মনসিংহের নান্দাইলে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মাদরাসাছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে এক ইজিবাইক চালকের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর সালিসকারীরা ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ের সিদ্ধান্ত দেয় এবং ভুক্তভোগী পরিবারকে আইনি পদক্ষেপ না নিতে দিয়ে ধর্ষককে রক্ষা করে। পাঁচ দিন পার থানায় অভিযোগ দিলে আজ বুধবার পুলিশ তদন্তে গিয়ে ঘটনা ফয়সালার বুদ্ধি এঁটে দেয়। এ ধরনের ঘটনাটি উপজেলার গাঙাইল ইউনিয়নের সুরাশ্রম গ্রামে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই গ্রামের দিনমজুরের কিশোরী কন্যা স্থানীয় একটি মাদরাসায় নবম শ্রেণিতে পড়ে। মাদরাসায় ও প্রাইভেটে যাওয়া আসার পথে প্রায়ই কিশোরীকে উত্ত্যক্ত করত এলাকার ইজিবাইক চালক আবু ছাঈদের ছেলে মনির মিয়া (১৯)। ঘটনাটি নিয়ে বিচার দিলেও কোনো বিচার পায়নি কিশোরীর পরিবার। এ অবস্থায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে কিশোরী তার বাবাকে পাশের বাড়ি থেকে ডেকে আনতে গেলে মনির তার পথরোধ করে।

ধর্ষণের শিকার কিশোরী জানায়, এ সময় মনির তাকে বিয়ের কথা বলে ধর্ষণ করে। এ সময় মনির চলে যেতে চাইলে তাকে জাপটে ধরে কিশোরী চিৎকার দিকে লোকজন ছুটে এলেও দৌড়ে পালিয়ে যায় ধর্ষক। পরদিন এলাকায় বিচার চাইলে স্থানীয় সালিসকারীরা সালিসে বসে ধর্ষকের সঙ্গে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বিয়ে ও আইনি পদক্ষেপ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু সালিসের সিদ্ধান্ত কার্যকরী না হওয়ায় পাঁচ দিন পর কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগের তদন্তের দায়িত্ব পান নান্দাইল থানার এসআই মনিরুল ইসলাম ও এএসআই নুর আহম্মেদ। তাঁরা আজ বুধবার ঘটনাস্থলে গিয়ে কিশোরীর কথা ছাড়াও স্থানীয় লোকজনের বক্তব্য শোনেন। কিশোরীর বাবা জানান, তদন্তশেষে তদন্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম তাঁকে বলেন, ঘটনার শতভাগ সত্যতা পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় মামলা হলে ধর্ষণের কোনো ধরনের আলামত পাওয়া যাবে না। যে কারণে ঘটনাটি মীমাংসা করার জন্য বলেন। এ সময় অপর তদন্ত কর্মকর্তা নুর আহম্মেদও ঘটনাটি মীমাংসা করার বুদ্ধি দেন।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নুর আহম্মেদ বলেন, সরেজমিনে তদন্ত করে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়া গেছে। তা ছাড়া যেহেতু দুই পক্ষই গরিব ও অসহায় তাই ঘটনাটি আজ বুধবার মধ্যে মীমাংসা করার জন্য বলা হয়েছে। অন্যথায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তা ছাড়া চেয়ারম্যানও দায়িত্ব নিয়েছেন।
ঘটনাটি সালিশের নেতৃত্ব দেন স্থানীয় ইউপি সদস্য জিলু মিয়া। তাঁকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভি করেননি। তবে সালিসকারী পাবেল জানান, সালিসে ছেলে মেয়ে দুজনই উপস্থিত ছিল। সেখানে ধর্ষক স্বীকার করে ধর্ষণের কথা। তারপরই সিদ্ধান্ত হয়েছিল বিয়ের। তবে কয়েকদিন পর ছেলের পক্ষ থেকে বিয়ে করাতে অস্বীকার করে।

স্থানীয় গাঙাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ আশরাফুজ্জামান খোকন জানান, তিনি ঘটনা জেনেছেন। তবে কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত তিনি দেননি। তবে আজ বুধবার তদন্ত কর্মকর্তা নুর আহম্মেদ তাঁকে ফোন করে বলেন, ঘটনা তো সত্য। মামলা হলে দুই পক্ষই ঝামেলায় পড়বে। তাই ফয়সালা করে দিতে। তিনি তখন তাঁর জবাবে ঘটনা সত্য হলে আইন ব্যবস্থা নিতে বলেন পুলিশকে আর পুলিশ চেষ্টা করছে ধর্ষন মামলার। মীমাংসার বিষয়টি গ্রাম বাসীদের মাঝে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর

https://bd24news.com © All rights reserved © 2022

Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102