চাঞ্চল্যকর এ ঘঠনা নান্দাইলে ধর্ষণের পর অন্ত:সত্ত্বা মামলার পর জেল পরে বিয়ের শর্তে জামিন মুক্তি হবার পর সন্তান ভুমিষ্ট হওয়ার পর বাবা-মার সন্তানকে অস্বীকার! ধর্ষক কতৃক ধর্ষণের পর অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে কিশোরী। সন্তানের পিতৃ পরিচয় চেয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা হয়। পুলিশ আসামিকে কারাগারে পাঠালে সালিসের সিদ্ধান্তে বিয়ের শর্তে তাকে জামিনে এনে বিয়ে দেওয়া হয় ভুক্তভোগী কিশোরীর সঙ্গে। চার মাস পর সন্তান জন্ম নেয়। তবে এখন ওই সন্তানকে অস্বীকার করছে বাবা-মা। শিশুটিকে দেওয়া হয় ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা-মায়ের কাছে। দুই মাসের শিশু লালন করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন ওই দম্পতি। ঘটনাঠি ঘটেছে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের পশ্চিম রাজাবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এরমধ্যে কিশোরী, নবজাতক ও অভিযুক্ত রাজিবের ডিএনএ পরীক্ষা করিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রাজাবাড়িয়া গ্রামের ওই কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়। কিশোরী তার পরিবারকে জানায়, দুই প্রতিবেশীর সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্ক হয়। পরে স্থানীয় সালিসে প্রতিবেশী মো. আব্দুর রশিদের ছেলে মো. রাজিব মিয়াকে (২২) দোষি সাব্যস্থ করা হয়। সালিসে রাজিবের সঙ্গে ওই কিশোরীর বিয়ের সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। তবে রাজিবের পরিবার এ সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি। পরে গত বছরের ১৯ আগস্ট ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হলে পুলিশ রাজিবকে গ্রেপ্তার করে। এক পর্যায়ে ওই কিশোরীকে বিয়ের শর্তে জামিনে মুক্ত করা হয় রাজিবকে।
জামিনের পর বিয়ে হয় তাদের। কিশোরীর সন্তান জন্ম দেওয়া ১৬ দিন পর নবজাতকে ভুক্তভোগী কিশোরির বাবা-মায়ের কাছে রেখে আসা হয়।
নবজাতককে লালনকারী দম্পতি জানায়, ১৬ দিন আগে শিশুটিকে ঘরের মেঝেতে ফেলে রেখে যায় রাজিবের মা। এরপর থেকেই মায়ের বুকের দুধের জন্য অনেক কান্নাকাটি করে আসছে শিশুটি। কিন্তু একবারের জন্যেও কেউ দেখতে আসেনি। এ অবস্থায় ধার-দেনা করে বাজার থেকে সেরেলাক কিনে এনে খাওয়ানো হচ্ছে। কিন্তু কোনো মতেই কান্না থামানো যাচ্ছে না।
শিশুটির মা-ধর্ষণের শিকার কিশোরী-বলেন,এই শিশুর জন্মদাতা আমার স্বামী রাজিব না। সালিসকারীরা জোর করে চাপাইয়া দিয়েছে। শিশুটির আসল জন্মদাতা হচ্ছে প্রতিবেশী নুরুদ্দিনের ছেলে (১৫)। এ কথা বললে কেউ আমার কথা শোনেনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেখ রফিকুল ইসলাম জানান, প্রথমে রাজিবকে অভিযুক্ত করে কিশোরী মামলা করলেও বিয়ের পর এখন অন্য নাম বলছে। এখন অভিযুক্ত কিশোরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার হলে তাকেও ডিএনএ পরীক্ষা করানো হবে। ডিএনএ পরীক্ষা পর এব্যাপারে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।