ভোলায় বিভিন্ন এনজিওর ঋণ ও স্থানীয়দের কাছ থেকে সুদে টাকা নিয়ে তা পরিশোধ করতে না পারায় রিংকু বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধূ কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিহত রিংকু বেগম ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব পলিশা ইউনিয়নের চর আনন্দ পাট-৩ গ্রামের মো: খোকন মিয়ার স্ত্রী। তার তিনটি সন্তান রয়েছে।
শনিবার (৬ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নিহত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নিহত রিংকু বেগমের স্বামী একজন জেলে। অনেক কষ্ট করে তাদের সংসার চলে। রিংকু বেগম বিভিন্ন এনজিওর থেকে ঋণ ও স্থানীয়দের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা নিয়ে ঘর নির্মাণ করেন। এবং তার বাবার বাড়িতেও টাকা দেন। পরে সময় মতো এনজিওর ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে না পারায় আত্মহত্যা করেন।
এছাড়াও স্থানীয়দের কাছ থেকে নেয়া টাকার সুদ ঠিকমতো পরিশোধ করতে না পারায় প্রতিনিয়ত পাওনাদারদের চাপে ছিল। শনিবার সকালে সে কীটনাশক খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। পরে বেলা ১১টার দিকে তার বড় ছেলে ডাকাডাকি করে। কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে চিৎকার দেয়। স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে মৃত দেখতে পায়।
পলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ ফরিদ শেখ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিকেলের দিকে আমরা খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। বিষয়টি তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান।
এই বিষয়ে ভোলা সদর থানার ওসি এনায়েত হোসেন বলেন,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমাদের টিম পৌঁছায়। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নেয়া হয়েছে। রিপোর্ট আসলে বলা যাবে, হত্যা না আত্মহত্যা।