উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগ্নিকান্ডের ঘটনায় তিন শিশুসহ পাঁচ জন নিহত হয়েছেন। অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হয়েছে শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু। অগ্নিকান্ডের ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ১২ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সোমবার (২২ মার্চ) বিকেল সোয়া চারটার দিকে বালুখালী ৮-ডব্লিউ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনের সূত্রপাত হয়।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ বলেন, ছয় ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন অবশেষে নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ারসার্ভিসের সাতটি ইউনিট, বিজিবি, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও এপিবিএন এর যৌথ প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে তিন শিশু সহ পাঁচ জন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন তিনি।
উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ১০ হাজার ৩শ বসতবাড়ি ও দেড় হাজার দোকান পাট। এর মধ্যে ১০ হাজার বসতবাড়ি রোহিঙ্গাদের এবং স্থানীয়দের বসতবাড়ি রয়েছে প্রায় ৩'শ। প্রায় ২ লাখেরও অধিক রোহিঙ্গা ও শতাধিত স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্থ লোক খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অগ্নিদগ্ধ এবং হুড়োহুড়িতে যারা আহত হয়েছেন তাদেরকে স্থানীয় এনজিও পরিচালিত হাসপাতাল ও কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান বলেন, অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি পরিকল্পিত বা অগ্নি দুর্ঘটনা কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ১২ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
অতিরিক্ত ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার সামছু-দৌজা বলেন, সোমবার (২২ মার্চ) বিকেল সোয়া ৪ টায় বালুখালী ৮-ডব্লিউ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনের সূত্রপাত। পরে আগুন লাগোয়া ৮-এইচ, ৯ ও ১০নং ক্যাম্পে থেকে স্থানীয়দের বসতবাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী, পুলিশ, ফায়ারসার্ভিস ও আরআরসি যৌথভাবে কাজ শুরু করে। খোলা আকাশের নিচে যারা অবস্থান করছেন তাদের খাবার জোগাতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ এগিয়ে এসেছেন।