বাগেরহাটের ফকিরহাটে যৌতুক না পেয়ে আফরোজা আক্তার মীম(২০) নামের এক গৃহবধুকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। বুধবার (২৪ মার্চ) বাবার পরিবারের লোকজন মীমকে উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
গৃহবধু মীম বলেন, যৌতুকের জন্য প্রায় স্বামী মাসুম বিল্লাহ ও শাশুড়ীসহ পরিবারের লোকজন আমাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করত।বিষয়টি আমার পরিবারকে জানালে বিভিন্ন সময় আমার স্বামীকে প্রায় দুই লক্ষ টাকার সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আমার মা কিছু নগদ টাকাও দিয়েছেন স্বামী মাসুম বিল্লাহকে। বিয়ের পরে কোন কারণ ছাড়াই আমার পড়াশুনা বন্ধ করে দিয়েছে আমার স্বামী-শাশুড়ী। এসব সহ্য করে শুধু সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য স্বামীর সাথে ছিলাম। কিন্তু মঙ্গলবার দুপুরে ঘরের দরজা বন্ধ করে আমাকে মেরে ফেলার জন্য আমার স্বামী ও শাশুড়ী মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে কৌশলে মুঠোফোনে আমার পরিবারের লোকদের জানাই। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তারা আমাকে উদ্ধার করে।
২০১৯ সালের ১৩ মার্চ বাগেরহাট সদর উপজেলার দশানী এলাকার জাকির হোসেন হাওলাদারের মেয়ে আফরোজা আক্তার মীমের সাথে ফকিরহাট উপজেলার ভবনা গ্রামের সালাম শেখের ছেলে মাসুম বিল্লাহর সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়।
মীমের বাবা জাকির হোসেন ও মা লিমা বেগম বলেন, বিয়ের পর থেকে নানা কারণে মাসুম ও তার মা আমার মেয়ের উপর নির্যাতন চালায়। মেয়ের সুখের জন্য কয়েক দফায় প্রায় দুই লক্ষ টাকা দিয়েছি। তারপরও তারা আমার মেয়ের উপর অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে।সর্বশেষ মঙ্গলবার আমার মেয়েকে মেরে ফেলার জন্য ঘরের মধ্যে আটকে রেখে নির্যাতন চালায়। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।
মীমের স্বামী মাসুম বিল্লাহ বলেন, আমি কোন নির্যাতন করিনি।
ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাইদ মোঃ খায়রুল আনাম বলেন, এখনও এই ঘটনায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে