ময়মনসিংহের নান্দাইলে শুভখিলায় বধ্যভুমির স্মৃতিফলক উদ্ধোদন করা হয়।
স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এবার ময়মনসিংহের নান্দাইলে উদ্বোধন হয়েছে বধ্যভূমি স্মৃতিফলক। জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে বহু কাঙ্ক্ষিত এই স্মৃতিফলকটি উদ্বোধন করেন ময়মনসিংহ-৯ নান্দাইল আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদিন খান তুহিন। ফলকটির অবস্থান উপজেলার মুশলী ইউনিয়নের কালিগঞ্জ এলাকার শুভখিলা গ্রামে রেলওয়ে সেতুর কাছে। উদ্বোধনের পর পুষ্পস্তবক অর্পণ ছাড়াও শহীদদের স্মরণে দোয়া পড়ানো হয়। পরে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নান্দাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ জুয়েল,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. এরশাদ উদ্দিন,সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মাজহারম্নল হক ফকির ও ওসি মিজানুর রহমান আকন্দ ছাড়াও এলাকার লোকজন।উপজেলা প্রশাসনের অর্থায়নে এ স্মৃতিফলকটি নির্মিত হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে ভৈরব-ময়মনসিংহ রেলওয়ে সড়ক। সেতুটির অবস্থান নরসুন্দা নামক নদীর ওপর। যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এনে এই সেতুর ওপর হাত ও চোখ বেঁধে হত্যা করেই ওই সময় খরস্রোতা নদীর পানিতে ফেলে দিতো পাকবাহিনীরা। স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় নির্বিঘ্নেই এই হত্যাযজ্ঞ চালানো হতো। অনেক নাম না জানা ব্যক্তিদের সাথে এখানেই হত্যা করা হয়েছে চন্ডীপাশা ইউনিয়নের খামারগাঁও গ্রামের শিক্ষক পরিবারের তিন ভাই খগেন্দ্র, হীরন্দ্রে এবং ভুপেন্দ্র চন্দ্র মজুমদারকে।
তাদের ঘরের বাৎসরিক কামলারাই তাদের ধরে নিয়ে পাকবাহিনীর হাতে তুলে দেয়। এ ঘটনা কথা স্মরণ করে আবেগাপ্লুত হয়ে শহীদ হীরেন্দ্র চন্দ্র মজুমদারের ছেলে প্রবাল মজুমদার বলেন, দীর্ঘ দিন পরে হলেও বাবা-চাচাদের স্মরণ করা যাবে।