হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হককে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে হেফাজতের কর্মীরা।
শনিবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। এর পরেই রয়েল রিসোর্টে ভাঙচুর শুরু করে স্থানীয় হেফাজতে ইসলামের সমর্থকরা।
এর আগে, অবরুদ্ধ হেফাজত নেতাকে রিসোর্টে জিজ্ঞাসাবাদ ও স্থানীয়দের হাত থেকে রক্ষায় ছুটে আসেন সোনারগাঁয়ের ইউএনও আতিকুল ইসলাম, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন, সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তবিদুর রহমান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শনিবার বিকেলে মাওলানা মামুনুল হক এক নারী নিয়ে রয়েল রিসোর্টে অবস্থান করছেন- এমন খবর পেয়ে স্থানীয়রা রিসোর্টে প্রবেশ করেন। পরে তাকে অবরুদ্ধ করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেন।
ঘটনার সময় ভাইরাল হওয়া ফেসবুক লাইভের ভিডিওতে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন স্থানীয় জনতা মিলে হেফাজত নেতা মামুনুলকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। এ সময় তারা মামুনুল হককে একের পর এক প্রশ্ন করতে থাকেন। একপর্যায়ে মামুনুল হক উত্তেজিত হয়ে তার পক্ষে সাফাই জবাব দিতে থাকেন। তবে আটক করে রাখা স্থানীয়রা তা বিশ্বাস করছিলেন না।
বিষয়টি নিশ্চিত করে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তবিদুর রহমান বলেন, ‘মামুনুল হককে থানায় নেয়ার সময় হেফাজত কর্মীরা তাকে নিয়ে গেছে। আমরা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছি।’