ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে আসমা খাতুন(২৯) নামে দুই সন্তানের জননীর মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
রবিবার রাতে উপজেলার যশরা ইউনিয়নের শিবগঞ্জ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ছয়ানী রসুলপুর গ্রামের আব্দুস সিদ্দিকের ছেলে হাফেজ সবুজ মিয়া ওরফে সবুরের সাথে পাশের বারবাড়িয়া ইউনিয়নের বীর বখুরা গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী আব্দুল বাতেনের মেয়ে আসমা খাতুনের প্রায় ১০বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এই দম্পতির ৬ বছর ও ৩ বছর বয়সের দুইটি কন্যা শিশু রয়েছে।
হাফেজ সবুজ মিয়া ওরফে সবুর বিয়ের পর আসমাকে যৌতুকের জন্য অত্যাচার নির্যাতন করলে আসমা বাবা মার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা এনে দিয়েছেন। পরে সবুজ মিয়া শিবগঞ্জ বাজারের সোনালী ব্যাংকের কাছে জনৈক কালাম মৌলভীর বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন এবং শিবগঞ্জ বাজারে হোমিওপ্যাথী ও কবিরাজি ঔষধের দোকান দিয়ে কবিরাজী করতেন। তবে হাফেজ সবুজ মিয়া ওরফে সবুর ও আসমা খাতুন পরহেজগার ছিলেন।
রবিবার সন্ধ্যার পর সাড়ে ৭ টার দিকে হঠাৎ করে আসমা খাতুন বসত ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
ঘটনার পর হাফেজ সবুজ মিয়া ওরফে সবুর ও শ্বশুর আব্দুস সিদ্দিক আসমার দুই কন্যা শিশুকে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন খোঁজ পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে গফরগাঁও থানার এসআই আহসান হাবিব সঙ্গীয় ফোর্সসহ এসে ঝুলন্ত লাশ নামান এবং নিহতের স্বজনদের খবর দেন। এ ঘটনায় আসমার মা নাসিমা খাতুন রাতেই গফরগাঁও থানায় অপমৃত্যু মামলা করেছেন।
নিহতের ছোট ভাই রাকিব মিয়া বলেন, বিয়ের পর যৌতুকের জন্য আমার বোনকে অত্যাচার-নির্যাতন করতো। এ জন্য আমরা ৫০হাজার টাকাও দিয়েছি। কিন্তু আমাদের জানামতে আর কোন সমস্যা ছিল না। বোন কেন আত্মহত্যা করেছে জানি না। তবে সন্তান নিয়ে পালিয়ে যাওয়াতে সন্দেহ হচ্ছে।
গফরগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ অনুকুল সরকার বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছি।