খুলনায় পাঁচ বছর বয়সী তানিশা আক্তার নামের এক ঘুমন্ত শিশুকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শিশুটির সৎ মা মুক্তা খাতুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (০৫ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে তেরখাদা উপজেলার আড়কান্দী গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত তানিশা আক্তারের বাবা খাজা শেখ আনসার ব্যাটালিয়ন পুলিশে কর্মরত।
জানা গেছে, খাজা শেখ সাত বছর আগে একই উপজেলার আক্কাস শেখের মেয়ে তাসলিমাকে বিয়ে করেন। পরে দাম্পত্য কলহের একপর্যায়ে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে তাদের। বছর দেড়েক হলো মুক্তা খাতুনকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন খাজা শেখ। কিন্তু কোনোভাবেই শিশু তানিশা আক্তারকে মেনে নিতে পারছিলেন না সৎ মা মুক্তা খাতুন। এ ঘটনার জের ধরেই ঘুমন্ত শিশু তানিশা আক্তারকে কুপিয়ে হত্যা করেন মুক্তা খাতুন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত তানিশা আক্তারের বাবা খাজা শেখ ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না। বিভিন্ন সময় তানিশা বাবার বাড়িতে এলে নির্যাতন করত সৎ মা মুক্তা।
সোমবার তানিশা বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসে দাদির কাছে ঘুমায়। সেখান থেকে সৎ মা মুক্তা তাকে উঠিয়ে নিজের কাছে নিয়ে আসেন। রাতে ঘুমন্ত তানিশা আক্তারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপান মুক্তা। এ সময় তানিশার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে গিয়ে রক্ত দেখে তেরখাদা থানায় সংবাদ দিলে ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটির সৎ মা মুক্তা খাতুনকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশ।
এ সময় জব্দ করা হয় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা ধারালো দা। শিশুটিকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিকভাবে তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা তানিশাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাতেই খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) এসএম রাজু আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
তেরখাদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সৎ মা তানিশাকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় তাকে আটক করা হয়েছে।