সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে মাদারীপুরের ৪০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) মাহে রমজানের রোজা রেখেছেন।
জানা যায়, সোমবার (১২ এপ্রিল) সৌদি আরবসহ মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রমজান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় মঙ্গলবার সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের মানুষ রোজা রেখেছেন। তাই সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর দরবার শরীফের ভক্তবৃন্দরা মঙ্গলবার রোজা রেখেছেন।
এদিকে সুরেশ্বর দরবার শরীফের মুরিদরা একদিন পূর্বে রোজা রাখেন এবং একদিন পূর্বে ঈদ উদযাপন করেন। সে হিসেবে মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের চরকালিকাপুর, মহিষেরচর, পূর্ব পাঁচখোলা, জাজিরা, কাতলা, তাল্লুক, খোয়াজপুর ইউনিয়নের চরগোবিন্দপুর, পখিরা, খোয়াজপুর, কুনিয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর, কালিকাপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর, হোসনাবাদ, ছিলারচর ইউনিয়নের রঘুরামপুর, আংগুলকাটা, হাজামবাড়ী ও কালকিনির রমজানপুর, কয়ারিয়া, রামারপুল, সাহেবরামপুর, আন্ডারচর, খাশেরহাটসহ জেলার ৪০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ মঙ্গলবার থেকে রোজা রেখেছেন।
সুরেশ্বর দরবার শরীফের ভক্ত ও মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস সাত্তার মোল্লা বলেন, ‘ইসলাম ধর্মের সবকিছুই মক্কা শরীফ হয়ে বাংলাদেশে এসেছে। সুরেশ্বর দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা শাহ্ সুরেশ্বরী (রা.) এর অনুসারীরা ১৪৮ বছর পূর্ব থেকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখেন এবং ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করে আসছেন। সে হিসেবে মঙ্গলবার আমরা প্রথম রোজা রাখলাম।’
তিনি আরও বলেন, ’সুরেশ্বর দরবার শরীফের পীর খাজা শাহ সূফী সৈয়দ নূরে আক্তার হোসাইনের নির্দেশে আমরা রোজাসহ ঈদ ও কোরবানি পালন করি। এ ছাড়া করোনাভাইরাসের কারণে সরকারি নির্দেশনা মেনে তারাবির নামাজ ঘরে বসেই পড়ার জন্য তিনি রোজাদারদেরকে অনুরোধ জানিয়েছেন।’