বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব পহেলা বৈশাখ। প্রতিবছরের মতো এবারও মানুষের মেলামেশায় প্রাণবন্ত কোনো সামাজিক উৎসব হবে না। বুধবার (১৪ এপ্রিল) নতুন বাংলা সন ১৪২৮-এর দিন গণনা শুরু হবে অনাড়ম্বরে।
নববর্ষের এ উৎসবকে বড় করেছে পূর্ব বাংলার বাঙালিরা। বিশেষ করে বর্তমান সময়ে এসে ছায়ানট এবং মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন স্থান করে নিয়েছে বিশ্ব দরবারে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে গেল বছরের মতো এবারও হচ্ছে না সেসব আয়োজন। তবে থেমে থাকবে না বর্ষবরণও। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বর্ষবরণের যাবতীয় অনুষ্ঠান করা হবে ভার্চুয়ালি।
১৯৬৭ সাল থেকে প্রতিবছর পহেলা বৈশাখে রমনার বটমূলে ভোরে অনাগত ভবিষ্যতকে স্বাগত জানিয়ে আসছে ঐতিহ্যবাহী সংগঠন ছায়ানট। ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধকালীন সময় আর গত বছরের করোনার কারণে আয়োজন বন্ধ হওয়া ছাড়া সত্য সুন্দরের গান একবারও থামেনি।
গেল বছরের মতো এবারও রমনার বটমূলে ছায়ানটের ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান হচ্ছে না। তবে ছায়ানটের আয়োজন তুলে ধরা হবে বাংলাদেশ টেলিভিশনে।
এ বিষয়ে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আনাম শাকিল জানান, আমাদের পরিকল্পনা ছিল রমনার বটমূলেই জনশূন্য অবস্থায় যদি অনুষ্ঠানটা করতে পারতাম, তাহলে আমাদের মন খুব ভালো থাকত। কিন্তু বর্তমানে যা পরিস্থিতি তাতে করে মানুষের মনে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করার মতো সেই আনন্দটা নাই।
এ বছরই মঙ্গল শোভাযাত্রার তিরিশ বছর পূর্তি হচ্ছে। করোনা মহামারির কারণে এবারও জাতিসংঘের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ইউনেসকোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজনও বাতিল করা হয়েছে।
পহেলা বৈশাখের চিরন্তন রূপকে তুলে ধরতে সপ্তাহখানেক আগে থেকেই চারুকলার দেয়াল রাঙিয়ে তুলেছেন চারুকলার শিক্ষার্থীরা।
এদিন বেলা ১১টায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ফেসবুক পাতায় অনলাইনে সরাসরি ‘নববর্ষ বরণ ১৪২৮’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেবেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাস্টি ও সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, এমপি।