রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় মসজিদের আদায়কৃত টাকার হিসেব নিয়ে দুইপক্ষের সংঘর্ষে নাজমুল হক (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে হারাগাছ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের চেয়ারম্যানটারী সারাই জুম্মাপড়া জামে মসজিদের পাশে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার জনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত নাজমুল স্থানীয় একটি বিড়ির কারখানায় চাকরি করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই মসজিদের কমিটি নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে রেষারেষি চলছিল। মসজিদের উন্নয়নের লক্ষ্যে নতুন কমিটির সদস্যরা মুসল্লিসহ স্থানীয়দের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করছিলেন। এর মধ্যে উত্তোলনকৃত টাকার শতকরা ২০ শতাংশ আদায়কারীরা নিতেন। এই ২০ শতাংশ টাকা নেয়াকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার জোহরের নামাজের পর নতুন কমিটির সদস্য আব্দুল বারী ভেল্লুর (৫০) সঙ্গে পুরাতন কমিটির সদস্য নুর আলমের ভাই দয়ালের বাকবিতণ্ডা হয়।
পরে মাগরিবের নামাজ শেষে আবারও দুইপক্ষের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় সাধারণ মুসল্লিরা তাদেরকে শান্ত করেন। পরে মসজিদ থেকে বাড়িতে ফেরার পথে ভেল্লুর দুই ছেলে রিপন ও লিয়নসহ কয়েকজন মিলে দয়াল ও তার পক্ষের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দয়ালের ভগ্নিপতি নাজমুল হকসহ, নূর আলম ও দয়াল আহত হন। রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে মারা যান নাজমুল। পুলিশ ভেল্লু মিয়া, তার স্ত্রী স্বপ্না ও দুই ছেলে রিপন মিয়া এবং জীবন মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে গেছে।
স্থানীয় ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বলেন, নিহত নাজমুলের বাড়ি সৎবাজার হলেও তিনি চেয়ারম্যানটারী এলাকায় তার শ্বশুর বাড়িতে থাকতেন। ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
হারাগাছ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।