বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) থেকে অনুমোদন দেয়া ছিল ইনজয় ফ্রুটস এবং আইটপ জুস এর। কিন্তু উৎপাদনকারী ওই নামে যৌন উত্তেজক সিরাপ এবং চকলেট বানিয়ে বাজারজাত করে আসছিলো।
পাবনা শহরের কৃঞ্চপুরে স্থাপিত এ অবৈধ প্রতিষ্ঠানটির নাম ইউনিটেক ফুড এন্ড বেভারেজ। এর মালিক পাবনা শহরের কৃঞ্চপুর মহল্লার মৃত আক্কাস আলীর ছেলে ইমরুল কায়েস (৪০)।
সোমবার( ১৯ এপ্রিল) বিকেলে পাবনা শহরের কৃঞ্চপুরে অভিযান চালিয়ে ওই অবৈধ যৌন উত্তেজক সিরাপ তৈরির কারখানাটির সন্ধান পায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ওই কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ যৌন উত্তেজক সিরাপ, লজেন্স এবং এসব তৈরির উপকরণ জব্দ করা হয়। এসময় তিনজনকে আটক করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত কারখানা মালিককে দুই লাখ টাকা জরিমানা, ১৫ দিনের সশ্রম কারাদণ্ড এবং জরিমানা অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। পরে কারখানাটি সিলগালা করে দেয়া হয়। পাবনা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) আব্দুল হান্নান জানান, ইমরুল কায়েস দীর্ঘদিন ধরে নিজ বাড়িতে কারখানা স্থাপন করে অবৈধ যৌন উত্তেজক সিরাপ ও লজেন্স তৈরি করছিলেন। এসব অবৈধ যৌন উত্তেজক সিরাপ পাবনা শহরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে বাজারজাত করছিলেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের একটি টিম সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ইমরুর কায়েসের ওই কারখানায় অভিযান চালায়। এসময় ওই কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ যৌন উত্তেজক সিরাপ, কথিত অ্যাডাল্ট লজেন্স এবং এসব তৈরির উপকরণ জব্দ করা হয়। পাবনা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম (ক্রাইম) বলেন, কারখানার ধূর্ত মালিক আমের জুস তৈরির কথা বলে বিএসটিআই থেকে ‘ইনজয় ফ্রুটস্ এবং আইটপ জুস এর অনুমোদন নেন। তিনি এতোদিন জুস উৎপাদনই দেখিয়ে আসছিলেন। তবে এই জুস তৈরির আড়ালে চলছিল যৌন উত্তেজক সিরাপ ও লজেন্স তৈরি করা হচ্ছিল। জেলা পুলিশের একটি সূত্র জানায়,পাবনা শহরে এ ধরনের আরও অনেক অবৈধ প্রতিষ্ঠান আছে। তারা ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য নিজেদের মধ্যে সমিতিও গঠন করেছে। সমিতির কাজ বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করা।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ও বিএমএ পাবনার সেক্রেটারি ডাঃ আকসাদ আল মাসুর আনন জানান, এসব ক্ষতিকর পানীয় পানে কিডনি, লিভার নষ্টসহ অকাল মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, জেলা পুলিশের উদ্যোগে শহরকে সব ধরনের মাদক, অপরাধ ও সন্ত্রাসমুক্ত করার কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।