পবিত্র রমজানে রোজা রেখে ইফতার আয়োজন বা কেনার সামর্থ্য নেই এরকম মানুষের মাঝে প্রতিদিন ইফতারের আয়োজন করেছে কুড়িগ্রামের মেঠোজন নামের স্থানীয় একটি সংগঠন। প্রতিদিন বিকেলে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে দিনমজুর, রিকশাচালক ও ভিক্ষুকসহ স্বল্প আয়ের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের হাতে ইফতার সামগ্রী তুলে দেন এ সংগঠনের সদস্যরা। খাবার সামান্য হলেও ক্ষুদার্থ মানুষজনের হাতে তা তুলে দিতে পেরে খুশি সংগঠনের প্রতিটি কর্মী।
জানা যায়, মেঠোজন একটি স্থানীয় সামাজিক সংগঠন। প্রাকৃতিক নানা দুর্যোগে বিভিন্ন সময় জেলার নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে দাড়িয়ে সহায়তা করা তাদের মুল উদ্দেশ্য। তবে এ সংগঠন শুরু হয় মুলতঃ লোক সংস্কৃতির সংরক্ষন, বিকাশ ও পৃষ্ঠপোষকতার উদ্দেশ্যে।
তবে কুড়িগ্রামসহ উত্তারাঞ্চলের বন্য, নদী ভাঙ্গনসহ প্রকৃতিক দুর্যোগে এগিয়ে আসেন মানবিক কর্মকান্ডে। অপরদিকে সাম্প্রতিক করোনা কালে সংগঠনটির কাঁধে দায়িত্বের বোঝা বেড়েছে আরও বেশী। যদিও সংগঠনের প্রতিটি কর্মী ব্যক্তি উদ্দোগে এ কাজে সহায়তা করে থাকেন। শহরের রিভারভিউ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠই তাদের মিলনস্থল। সেখানে বসেই তৈরি করা খাবার রমজান মাসে পথচারী ও নিম্ন আয়ের রোজাদার মানুষের হাতে তুলে দিচ্ছেন। রান্না কাটা-বাচাসহ সমস্ত কাজই করছেন সংগঠনের কর্মীরা। এ কাজে আর্থিক ও সময় ব্যয় হলেও ভালোবাসা ও আনন্দ খুঁজে পান তারা।
[caption id="attachment_17492" align="alignnone" width="300"] ইফতার প্যাককরনের ছবি[/caption]
আয়োজন ইফতারের হলেও কখনও ভুনা খিচুরী, কখনও ডাল-ভাত, কখনও বিরানি, আবার কখনও মাংস ভাত। ব্যক্তি উদ্দোগের সামান্য আয়োজন নিম্ন আয়ের সব মানুষকে সম্পৃক্ত করতে না পারলেও প্রতিদিন সাড়ে ৩ থেকে ৪শ প্যাকেট তৈরী করে পৌছে দিচ্ছেন ক্ষুধার্থ মানুষের হাতে।
মেঠোজনের সাধারাণ সম্পাদক মোঃ পারভেজ ইবনে সুলতান বলেন, রমজানের রোজায় নিম্ন আয়ের ক্ষুধার্থ মানুষকে খাবার দেয়া মানব সেবা মূলক কাজ বলে আমি মনে করি। সম্পন্ন রমজান মাসটি যেন খেটে খাওয়া ও দিনমজুর মানুষকে খাবার দিয়ে এ সেবা মূলক কাজটি করতে পারি।
মেঠোজনের সভাপতি ইউসুফ আলমগীর বলেন, 'দুর্যোগে-দুর্ভোগে সাথে আছি আমরা' এই শ্লোগানকে ধারণ করে আমরা মানবিক কাজ করছি। প্রত্যাশা করি,
দেশের সকল প্রান্তের সামাজিক সংগঠনগুলো এমন মানবিক কাজে এগিয়ে আসলে এই রমজানে বিশেষ করে করোনকালে উপকৃত হবে অসহায় হত দরিদ্র মানুষ।