দুই বছর ধরে চায়ের দোকান করে আসছিল সমর রোজারিও। তার দোকানের পাশেই থাকত একটি পরিবার। ওই পরিবারে ছিল সাত বছরের একটি মেয়েশিশু। শিশুটির সঙ্গে ভালো সখ্য ছিল সমরের। মাঝে মধ্যেই তাকে চকলেট খেতে দিত সমর।
চলতি মাসের ১৫ তারিখে নিজেদের বাড়ির সামনেই খেলছিল শিশুটি। তখন ওই শিশুকে চকলেট ও বিস্কুট দেয়ার কথা বলে নিজের দোকানে ডেকে নেয় সমর। শিশুটি দোকানের কাছে গেলে তাকে দোকানের ভিতরে নিয়ে যায় সে। পরে শিশুটির হাতে স্মার্টফোন দিয়ে দোকানের শাটার বন্ধ করে দেয় সমর। পরে শিশুটির মুখ চেপে ধর্ষণ করে ওই পাষণ্ড। এ ঘটনা কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দিয়ে তাকে তাড়িয়ে দেয় সমর।
ভয়ে ভুক্তভোগী বিষয়টি গোপন রাখে। তবে ধর্ষণের পরের দিন শিশুটির ঘরের সামনে গিয়ে ডাকাডাকি করে সমর। এ সময় ওই শিশুর ভাবী ডাকার কারণ জানতে চাইলে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দেয় সে। পরবর্তীতে শিশুটির মা তাকে জিজ্ঞেস করলে, সে ঘটনার বিষয় খুলে বলে।
ঘটনাটি সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের ধরেন্ডা গ্রামের। এ ঘটনায় সমরকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। আর ধর্ষক সমর রোজারিওকে আটক করেছে পুলিশ। সে ওই এলাকার মৃত সিলভিস্টার রোজারিওর ছেলে।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার এসআই নাজিউর রহমান বলেন, 'লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই অভিযুক্তকে আটকে অভিযান চালানো হয়। বুধবার রাতে তাকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। একই সঙ্গে ভুক্তভোগী শিশুকেও পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।'
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ধর্ষক সমর রোজারিওকে ধর্ষণ মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। আর ভুক্তভোগীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।