ময়মনসিংহ সিটি মেয়ের ইকরামুল হক টিটু করোনাকালে এবারও সরব তিনি। কখনও ছুটছেন প্রকল্প দেখভালে, কখনো করোনাকালে নগরীর কাঁচা বাজার সঠিক স্থানে বসেছে কিনা তা দেখতে। আবারো রয়েছে অলিগলিতে গিয়ে মশা মারার কাজের তদারকি। নিজ দপ্তরে বসার পর একের পর এক সভা করে প্রতিদিনের ফাইলগুলোর কাজ শেষ করতে হয়। এসবের মাঝেও তিনি সময় দিচ্ছেন দর্শনার্থীদের। যোগ দিচ্ছেন বিভিন্ন সামাজিক, দলীয় এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানে। ময়মনসিংহ সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু গত বছরও করোনাকালে সরব জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে জানান দেন। এবারও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালে নগরবাসীর পাশেই রয়েছেন তিনি।
ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র তিনি। সিটি কর্পোরেশন ঘোষণার আগে পৌরসভা থাকাকালেও তিনি ছিলেন পৌরসভার মেয়র । নগরীর বিভিন্ন সমস্যা সম্ভাবনা তার অজানা নয়। এর বাইরে তিনি একজন সামাজিক মানুষ। বিপুল সংখ্যাক নগরবাসীর সাথে তার আছে ব্যক্তিগত সখ্যতা এবং আন্তরিকতা। এ কারণে নগরীর অনেক সমস্যাই তার নখদর্পনে। করোনাকালে তার এমন অভিজ্ঞতা এবং সামাজিক যোগাযোগ নিজ দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সহায়তার ভূমিকা রেখেছে।
করোনাকালে নগরীর অসহায় জনগোষ্ঠীর মাঝে তিনি নিজে উপস্থিত থেকে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন। তার উদ্যোগে নগরীর অনেকগুলো জনগুরুত্বপূর্ণ কাজ নিয়মিত চলছে। কারোনাকালে সচেতনতা সৃষ্টিতে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নগরীর বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে তার পক্ষ থেকে। জনদুর্ভোগ লাঘবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে নিয়মিত। মশার উৎপাত বন্ধে ওষুধ ছিটানোর পাশাপাশি ডোবা-নালাতে ব্যাঙ ফেলেও মশাকে দমনের চেষ্টা করা হচ্ছে। করোনাকালে নগরীর পাটগুদাম সেতু এলাকার ময়লার স্তুপটির সমাধান হয়েছে। দ্রুততম সময়ে নগরীর কাঁচা বাজারকে সরিয়ে রেল স্টেশন এলাকায় নেওয়া হয়েছে। নাগরিকদের করোনার টিকা গ্রহণ ও প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও নিয়েছেন যথাযথ উদ্যোগ।
একাধিক নাগরিকের ভাষ্যমতে, একজন যথার্থ জনপ্রতিনিধির মতোই মেয়র ইকরামুল হক টিটু কাজ করে যাচ্ছেন। অনেক সমস্যার সমাধান হচ্ছে। আবার অনেক সমস্যা হয়তো রয়ে যাচ্ছে। তবে মেয়র চেষ্টা করছেন। নাগরিকদের কথা শুনছেন। কথা শুনে চেষ্টা করছেন নাগরিকদের ভোগান্তি সমাধানের। য়েকারনে মেয়র ইকরামুল হক টিটু তিনি নগরবাসীর মাঝে যোগ্য মেয়র হিসেবে পরিচিত।