ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করতে শিকদার মসজিদে যায় দাদন আকন ও তার লোকজন। একই মসজিদে নিজের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে নামাজ আদায় করতে আসেন আমিন শিকদার। মসজিদে প্রবেশের সময় শিকদার গ্রুপকে বাধা দেয় দাদনের লোকজন।
মুহূর্তের মধ্যেই দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে নারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। পরে আহতদের উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ঘটনাটি মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের শিকদারকান্দি গ্রামের। শুক্রবার (১৪ মে) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে আমিন শিকদার বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে আমরা দাদন আকনদের সঙ্গে এক সমাজে ছিলাম। তারা আমাদের লোকজনের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করত। তাই এবারের ঈদে আমরা তাদের সমাজ ছেড়ে দিয়ে অন্য সমাজে নামাজ আদায় করতে যাই। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে তারা আমাদের ওপর হামলা করেছে।'
অভিযোগের বিষয়ে দাদন আকন বলেন, 'আমিন শিকদাররা আমাদের সমাজ ছেড়ে চলে যাইতে চাইছে। আমরা তাদের কাছে টাকা পাব। আমাদের সমাজে যেহেতু তারা থাকবে না তাই আমি আমার পাওনা টাকা চাইছি। আর এই কারণেই তারা আমাদের ওপর হামলা করেছে।'
শিবচর থানার ওসি মিরাজ হোসেন বলেন, 'ঈদের নামাজ আদায় করাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আহত কয়েকজন শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অনেকেই চিকিৎসা নিয়ে চলেও গেছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা আছে। তবে দুপক্ষের কেউ এখনও থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।'