'সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে নয়, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিলে দেশ-জাতি উপকৃত হবে' বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
আজ মঙ্গলবার (১৮ মে) সন্ধ্যা সাতটায় ফেসবুকে এক পোস্টে এ কথা লেখেন তিনি।
পরে পোস্টের বিষয়ে জানতে চাইলে মাহবুব আলম হানিফ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে নিয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনার নিন্দা জানান।
মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন,‘সরকারের কোনো মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তা বা ব্যক্তি বিশেষের কারণে ভাবমূর্তি নষ্ট হবে এটা কোনোভাবে কাম্য নয়। আমরা চাই প্রত্যেকটা মন্ত্রণালয় স্বচ্ছভাবে কাজ করুক, প্রধানমন্ত্রীর যে চিন্তা চেতনা দেশের জন্য যে পরিকল্পনা সেটা বাস্তবায়নে এগিয়ে যাক। দেশ এগিয়ে যাক, সরকারের ইমেজ আরও উজ্জ্বল হোক।’
মাহবুব আলম হানিফ প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের সঙ্গে সচিবালয়ে যে ঘটনা ঘটেছে সেটিকে অত্যন্ত দুঃখজনক,অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বলে উল্লেখ করেন। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান তিনি। এই ধরনের ঘটনা কখনোই কাম্য নয়।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হানিফ বলেন, সংবাদমাধ্যম হচ্ছে সমাজের দর্পণ। এর মাধ্যমেই জনগণ দেশের সঠিক তথ্য উপাত্ত খুঁজে পায়। এটাও সরকারের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে। সরকার ও সংবাদমাধ্যম সুসম্পর্ক থাকাটায় বাঞ্ছনীয়। কিন্তু কখনো কখনো দেখা যায়, দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের কারণেই এই জায়গাতে ব্যাঘাত ঘটে। তাই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা নয়, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিলে দেশ-জাতি উপকৃত হবে।
মাহবুব উল আলম হানিফ আরও বলেন,‘করোনাকালে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্বলতা থাকা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা মোকাবিলা করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। উনি কখনো দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেন না, তিনি শক্ত অবস্থানে আছেন। ইতিমধ্যে যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গত ৫/৭ বছরে ক্ষমতাসীন দলের অনেক সাংসদের বিরুদ্ধে দুদক তদন্ত করেছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, অনুমতি ছাড়া করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের সরকারি নথির ছবি তোলার অভিযোগে দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখার পর শাহবাগ থানা পুলিশে সোপর্দ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এরপর মঙ্গলবার (১৮ মে) সকালে তাকে আদালতে হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফুর রহমান সরদার।
পরে রোজিনা ইসলামের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর প্রিজন ভ্যানে করে তাকে গাজীপুর জেলার কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে পাঠানো হয়।